ড্রোনে করে জলাশয় থেকে বাজারে পৌঁছে যাবে তরতাজা জ্যান্ত মাছ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে এবার ড্রোনে করে পৌঁছে যাবে তরতাজা জ্যান্ত মাছ। কেন্দ্রীয় মৎস্য বিভাগ এই উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি)-কে প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্ল্যানিং, রিসার্চ ও বাস্তবায়নের কাজ করবে সিফরি। এই বিশেষ ধরনের ড্রোন ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে প্রায় ১০০ কেজি মাছ বহন করতে সক্ষম।
বাজারে জ্যান্ত মাছের কদর চিরকালই বেশি। দামও স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বেশি পড়ে। মাগুর, কই, সিঙির মতো জিওল মাছগুলি জ্যান্ত পাওয়া গেলেও রুই, কাতলা, ট্যাংরা ইত্যাদি জ্যান্ত ও তরতাজা অবস্থায় পাওয়া দুষ্কর। গঙ্গা সহ বিভিন্ন নদী, জলাশয়, বড় বিল, ভেড়িতে এসব মাছ ধরার পর তা বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দিতেই অনেকটা সময় চলে যায়। ততক্ষণ মাছগুলি বেঁচে থাকে না। মাছ মরে গেলে দরও কমে যায়। লোকসানের মুখে পড়েন মৎস্যজীবীরা। তাই তাঁদের কথা ভেবে এই পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বারাকপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা সিফরিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য বিভাগের সচিব ডঃ অভিলাক্ষ লিখি। পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে একটি ড্রোন ওড়ানো হয়। সেখানে সিফরির ডিরেক্টর বসন্তকুমার দাস সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের ড্রোনের প্রযুক্তি তুলে ধরা হয় সেখানে। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানির কর্তা এবং মৎস্যচাষিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবেন। সিফরির দাবি, শুধু মাছ পরিবহণ নয়, মাছ চাষের কাজেও ড্রোনের ব্যবহার হতে পারে। জলাশয়ে ওষুধ দেওয়া, জলের নমুনা পরীক্ষা ইত্যাদি কাজেও ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে।