যুদ্ধসাজে নয়, কেমন ভাবে সেজে ওঠেন চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী?
দেবীর চালা থেকে কাঠামোর শেষপর্ব পর্যন্ত সেজে ওঠে রামায়ণের দৃশ্যে। উর্দিবাজারের পুজোতে থিম মহিষাসুরমর্দিনী, সেই সাজে সেজেছেন দেবী।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জগদ্ধাত্রী হলেন হৈমন্তিকা। চন্দননগরে দেবীর রূপ অনবদ্য। দেবীর সাজসজ্জাও অপরূপ। দেবীর সাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি গত পঞ্চাশ বছর ধরে দেবীর সাজের জন্য পুরস্কার দিচ্ছে।
দেবীকে শোলার সাজে সাজানো হয়। গত কয়েক বছর ধরে শোলার সাজে প্রভাব পড়েছে থিমের। শোলার এই সাজ দেখতে কতকটা হাতির দাঁতের শিল্পকলার মতো। তাই একে ‘হার্বাল আইভরি’ নামেও ডাকা হয়। পুজো উদ্যোক্তারা একে অপরকে টেক্কা দিতে চোখ ধাঁধানো শিল্প উপহার দিচ্ছেন। জগদ্ধাত্রী সাধারণত যুদ্ধসাজে থাকেন না। তবে অস্ত্র আছে। দেবীকে রাজরানির মতো সাজিয়ে তোলে চন্দননগর। এই রীতি সেই প্রথম দিন থেকে। দেবীর মুকুট থেকে পা ছাড়িয়ে কাঠামজুড়ে মনোহর সাজ। সবই গড়া শোলা দিয়ে। উত্তরীয়ের মতো সাজ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। দেবীর চালা থেকে কাঠামোর শেষপর্ব পর্যন্ত সেজে ওঠে রামায়ণের দৃশ্যে। উর্দিবাজারের পুজোতে থিম মহিষাসুরমর্দিনী, সেই সাজে সেজেছেন দেবী।