মদনমোহন মন্দিরের মতোই বেনারসের সোনারপুরার রাসযাত্রার সূচনাও কোচবিহারের মহারাজদের হাতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোচবিহারের মহারাজারা যেমন মদনমোহন মন্দিরে রাস উৎসবের সূচনা করেছিলেন, তেমনই তাঁরা বেনারসের সোনারপুরা এলাকায় অবস্থিত কোচবিহার কালীবাড়ির পাশে রাধা-গোবিন্দ মন্দিরেও রাস উৎসব চালু করেছিলেন। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের মতোই বেনারসের রাধা গোবিন্দ মন্দিরেও জাঁকজমকপূর্ণভাবে রাস উৎসব পালন করা হত। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা ওই মন্দিরের রাস উৎসবে এখন আর আগের মতো ধুমধাম হয় না। আজও নির্দিষ্ট তিথিতে প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের রাসযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এবারও তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বেনারসের রাসযাত্রার জন্য এবার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। মন্দির চত্বরে রাসচক্র বসানোর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বেনারসের রাধা গোবিন্দ মন্দিরেও প্রাচীন রীতি মেনে রাসচক্র ঘোরানো হবে। জাঁকজমক না থাকলেও, রীতি নিয়ম পালন করা হয়।
বেনারসে রাসের দিন ঠাকুরকে বাইরে আনা হয়। তাঁকে বাগানে বসানো, পুজো, রাস ঘোরানো সবই হবে। তবে এখন ছোট আকারে হয়। বেনারসের রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রাসচক্রটি ২৫ ফুট উচ্চতার হয়। রাস উৎসব উপলক্ষ্যে আগে কালীমন্দিরও সাজানো হত। এখন তা না হলেও রাস উৎসব পালিত হয়। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে পুতনার মডেল নির্মাণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৩৪ ফুট উচ্চতার বিরাট রাসচক্রের খুঁটি মাঠে এসেছে। মন্দিরজুড়ে এখন সাজোসাজো রব। তুঙ্গে ব্যস্ততা। আগামী ১৫ নভেম্বর রাসযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।