করোনা পরিস্থিতিতে জঙ্গলে হাতি,কার সাফারির বাড়তে পারে খরচ
কোভিডের সমস্ত প্রোটোকল মেনেই বনদপ্তর ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার দিকে এগচ্ছে। কিন্তু জঙ্গল খুললেও করোনার কারণে কীভাবে হাতি ও জিপ সাফারি হবে? এ নিয়েই এখন বনদপ্তরের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। পর্যটন মহলেও এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এই আশা-নিরাশার দোলাচলে করোনার জেরে হাতি ও জিপ সাফারির নিয়মে এবার বড়সড় বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনার ফলায় এবার চারজনের বদলে দু’জনকে হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে ঘুরতে হতে পারে। ছ’জনের বদলে চারজনকে জিপ সাফারিতে নেওয়া হতে পারে। হাতি ও জিপ সাফারির নিয়মে এরকমই নানা সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছে বনদপ্তরের অন্দরে। সেক্ষেত্রে সাফারির জন্য পর্যটকদের বাড়তি খরচ হতে পারে। এদিকে, করোনার কোপে হাতি সাফারি বন্ধ থাকার সম্ভবনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ১৬ তারিখই জঙ্গল খোলার দিকে আমরা এগচ্ছি। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে জঙ্গলে হাতি ও কার সাফারি হবে, তার উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। কলকাতায় মেট্রো চালুর পর কী পরিস্থিতি হয়, সেদিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তারপরেই জঙ্গল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জঙ্গলে ঢোকা, বের হওয়া, হাতি ও জিপ সাফারির ক্ষেত্রে কোভিডের কী কী প্রোটোকল মানা হবে, তা নিয়ে বনমন্ত্রী ও রাজ্যের বনকর্তারা ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। এ ব্যাপারে কথা হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। ছ’মাস ধরে বন্ধ জঙ্গল। বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলি জানিয়েছে, জঙ্গল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসায় ১৫-১৬ লক্ষ টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। দুর্গাপুজোর আর মাত্র দেড়মাস বাকি। পুজোর আগে জঙ্গল খুললে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পর্যটন ব্যবসা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
সেই আশায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা হোম স্টে, রিসর্ট, হোটেল ও লজগুলি ইতিমধ্যেই সাফসুতরো করার কাজ সেরে ফেলেছেন। স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের ডুয়ার্সে আসার সুবিধার্থে আলিপুরদুয়ারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ও কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালুর দাবি তুলেছেন। তারজন্য ৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা আলিপুরদুয়ারে রেলের ডিআরএম’কে ডেপুটেশন দেবেন।
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, পর্যটকদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যেকোনও মূল্যে জঙ্গল খুলতে হবে। জঙ্গল খুললে ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসা ফের ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে সমস্তরকম কোভিড প্রোটোকলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, জঙ্গল খুলবে কি না এ বিষয়ে যা বলার রাজ্য সরকার বলবে।