চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে নির্দেশ মেনে পুড়ল না বাজি, বাজল না ডিজে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন মানেই বিখ্যাত শোভাযাত্রা। আলোর শোভাযাত্রা। বড় লরিতে সুউচ্চ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। সঙ্গে থাকে আরও একাধিক লরি। সেগুলিতে থাকে আলোর নানান কারসাজি। প্রতিমা নিরঞ্জন চলেছে চন্দননগর থেকে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত মোট ১৪ টি ঘাটে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি ঘাট চন্দননগরের রানীঘাট, শিববাটি ঘাট এবং ভদ্রেশ্বরের শ্রীমণি ঘাট।
রাস্তা জুড়ে ঝলমলে আলো, সঙ্গে বাজছে ঢাকঢোল-সানাই। প্রতি বছরের মতো সোমবার চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোড থেকে শুরু হল শোভাযাত্রা। এর পর উর্দি বাজার, গঞ্জের বাজার, সরিষা পাড়া, পঞ্চাননতলা, তালডাঙা, পালপালা রোড, বিদ্যালঙ্কার, বাগবাজার হয়ে জিটি রোডে উঠে রথের সড়ক হয়ে শোভাযাত্রা ঘুরে যায় জ্যোতির মোড়ে। সেখান থেকে হাটখোলা হয়ে শেষে স্ট্যান্ডে পৌঁছয় প্রতিমা।
পুজো শুরু আগেই প্রতিমা নিরঞ্জনের পরিকল্পনা শেষ করেছিল কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। শোভাযাত্রায় শৃঙ্খলারক্ষা করতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সেই মতো শোভাযাত্রায় ডিজে ও যে কোনও বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। দু’টি কমিটির ট্রাকের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব ৩০ ফুট এবং প্রতিটি পুজো কমিটির দু’টি ট্রাকের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব ২০ ফুট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকে বিচিত্রানুষ্ঠানও বন্ধ করা হয়েছে। ট্রাকে আলোকসজ্জার কাঠামোর উচ্চতা ২৮ ফুটের বেশি হবে না বলে জানিয়েছে কমিটি। সেই নিয়ম মেনে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শুরু হয় কার্নিভাল। কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় এ বার মোট পুজোর সংখ্যা ১৭৭। এর মধ্যে চন্দননগর থানা এলাকায় ১৪৪ এবং ভদ্রেশ্বরে রয়েছে ৩৩টি পুজো। পুরসভার ভিত্তিতে চন্দননগরে ১৪২, ভদ্রেশ্বরে ২৪ এবং চাঁপদানিতে ১১টি পুজো। বিশেষ জয়ন্তী বর্ষ উদ্যাপন করবে ৮টি পুজো কমিটি।
প্রতিবারের মতো এ বারও নজর কেড়েছে প্রয়াত বাবু পালের তৈরি আলোকসজ্জা। দুর্গাপুজোর আগেই মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করেছেন তাঁর কন্যা। সোমবার কার্নিভালে বাবার তৈরি শেষ কাজ দেখে তাই চোখে জল চলে আসে মেয়ে সুশ্বেতা পালের।