‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প কীভাবে পাহাড়ে রূপায়িত হবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাহাড়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ‘বাংলার বাড়ি’ কীভাবে পাহাড়ে রূপায়িত হবে, কে বা কারা হবে তার নোডাল এজেন্সি, সে সংক্রান্ত রূপরেখা মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবাস যোজনার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা।
রাজ্যের কোষাগারের অর্থে অন্যান্য জেলার মতো দার্জিলিংয়েও আবাস যোজনার কাজ শুরু করিয়েছেন মমতা। নবান্ন সূত্রের খবর, গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, পাহাড় বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় ২৪ হাজারের কিছু বেশি বাড়িতে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। সমীক্ষার পর ৪ হাজার ৩১৩টি আবেদন বাতিলও হয়েছে। তাহলে দার্জিলিং আর কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় তা হয়নি কেন?
ভুক্তভোগীরা জানেন, এখানেও কেন্দ্রের বঞ্চনা আর পদ্মপার্টির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি সমতলের মতোই বিরাজমান। আবাস যোজনায় বাংলার বরাদ্দ দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। অথচ পাহাড়ে বিজেপির প্রচার—সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে কেন্দ্র। পাহাড়ে ৪৫ হাজার বাড়ি হবে, এমন প্রচারপত্রের পাশাপাশি কোন জেলায় কত বাড়ি হবে, তার হিসেব দিয়ে প্রচারও শুরু হয় গত লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে। কিন্তু কেন্দ্রের সেই অর্থ এখনও এসে পৌঁছয়নি পাহাড়ে।
এই আবর্তে রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পাহাড়ের গৃহহীন বাসিন্দাদের কাছে বাংলার বাড়ি পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে খোদ নবান্ন। বঞ্চিত সমতল আর বঞ্চিত পাহাড়—দুই প্রান্তের বঞ্চনাকে নিজেদের কোষাগারের ভরসায় মেটাতে উদ্যোগী স্বয়ং মমতাও। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমতল যতটা আদরের, ঠিক ততটাই প্রিয় পাহাড়। বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর ব্রত। এই বিষয়ে তিনি যেমন নির্দেশ দেবেন, সেরকমই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’