উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত পর্ষদগুলি পুনর্গঠনের ঘোষণা মমতার
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: উন্নয়নের কাজে কোনও বিলম্ব বরদাস্ত নয়, পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত উন্নয়ন পর্ষদগুলি পুনর্গঠনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলের কনফারেন্স রুমে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এবং ১৭টি উন্নয়ন পর্ষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার সদস্য অরূপ বিশ্বাস, আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব, জেলাশাসকরা সহ বহু আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন সেখানে। বৈঠক শেষে পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত উন্নয়ন পর্ষদগুলি পুনর্গঠনের খবর জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি ঘোষণা করেন, জিটিএ প্রধান অনীত থাপা এবং মিরিক পুরসভার পুরপ্রধান লালবাহাদুর রাইয়ের নেতৃত্বাধীন ‘মনিটরিং’ কমিটি এবার থেকে উন্নয়ন পর্ষদগুলির কাজকর্মের তদারকি করবে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের দুই জেলাশাসকও থাকবেন নজরদারির দায়িত্বে। ভেঙে দেওয়া উন্নয়ন পর্ষদগুলি আগামী এক-দেড়মাসের মধ্যে পুনর্গঠিত হবে বলে জানান মমতা। জানা যাচ্ছে, কাজে ঢিলেমি ও অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি উঠেছে তামাং উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোক্তানের বিরুদ্ধে। তাঁকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস গোপাল লামাকে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তামাং, খস, লেপচা, ভুটিয়া, শেরপার মতো পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পৃথক পর্ষদ গঠনের কাজ শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে ১৪টি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অধীনে দু’টি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত উন্নয়ন পর্ষদগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। গৃহহীনদের বাড়ি, কমিউনিটি হল, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা তৈরি সহ নানা কাজে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে নবান্ন।