রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

১৬ বছর পর রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক অপহরণের মামলা থেকে বেকসুর খালাস ছত্রধর মাহাত

November 13, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার, রাজধানী এক্সপ্রেসের চালককে অপহরণের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাত। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ চললো মামলা। কলকাতার বিচারভবনে এনআইএ-র বিশেষ আদালত ছত্রধরকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছে। ছত্রধরের চার সঙ্গীও মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এদিন। তাঁদের দুই আইনজীবী জাকির হোসেন ও সঞ্জয় সিং বলেন, আদালতে তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি এনআইএ। সেই কারণে চার্জ গঠনের আগেই মামলা থেকে বিচারক ছত্রধরকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় আদালত।

আদালতের মত, ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। ছত্রধরের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে‌ তৎকালীন বাম সরকার তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল। দীর্ঘদিন তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যার কোনও ভিত্তি ছিল না। কিন্তু কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়ে গেল, তিনি ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত ছিলেন না। যদিও ছত্রধরের বিরুদ্ধে অন্য একটি খুনের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে বাঁশতলা রেল স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেসের চালককে অপহরণের মামলায় তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরে সিপিএমের এক নেতাকে খুনের মামলাতেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। দু’টি মামলার বিচার চলছিল ঝাড়গ্রামের জেলা আদালতে। পরবর্তী সময় কলকাতা হা‌ইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান ছত্রধর। ২০২১ সালে এনআইএ দু’টি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গ্রেপ্তার করা হয় ছত্রধরকে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। তদন্ত শেষে দুই মামলাতেই ছত্রধরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনআইএ। মামলা নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর সম্প্রতি মামলা থেকে রেহাই চেয়ে ছত্রধর মাহাত কোর্টে আর্জি জানান। বিচারক তাঁকে মামলা থেকে রেহাই দেন।

জামিন পেয়ে ছত্রধর বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিবিআই, এনআইএকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। নিম্ন আদালত এদিন রায়ে স্পষ্ট বলেছে, অভিযোগ গ্ৰহণযোগ্য নয়। বেকসুর খালাসের সঙ্গে বন্ডের টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গণতন্ত্রে বিজেপির বিশ্বাস নেই। ওরা বাংলাকে দখল করতে চাইছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chhatradhar Mahato, #case, #rajdhani express case

আরো দেখুন