ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে ‘কূটনীতি ফাউন্ডেশন’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতে পরিষেবা প্রদানের অনুমোদন আদায় করতে হলে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্টারলিঙ্ক’কে এদেশের সমস্ত নীতি ও আইন মেনে চলতে হবে। মঙ্গলবার একথা বলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ওই সংস্থা সংশ্লিষ্ট সমস্ত নিয়ম মানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা সেই প্রক্রিয়া শেষ করলেই তাদের ভারতে পরিষেবা প্রদানের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, স্টারলিঙ্ক ভারত সরকারের ডেটা স্টোরেজ এবং সিকিউরিটি সংক্রান্ত নিয়মগুলি মেনে চলার জন্য রাজি হয়েছে। তবে, সংস্থাটি এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে এর জন্য প্রয়োজনীয় কোন চুক্তিপত্র জমা দেয়নি।
এদিকে, টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থায় বর্তমানে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার জন্য ভারতের স্যাটেলাইট পরিষেবার মূল্য যথেষ্ট ভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যদিও, সরকার স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রামের প্রশাসনিক বরাদ্দ ব্যবহার করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে, স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত চূড়ান্ত ঘোষণা এখনো ভারতীয় টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির তরফ থেকে আসেনি। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রাই স্যাটেলাইট কানেকশন সংক্রান্ত নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানাবে।
এই পরিস্থিতিতে মাস্কের সংস্থাকে নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছে পরামর্শদাতা সংস্থা ‘কূটনীতি ফাউন্ডেশন’। তাঁরা একে ‘ভেড়ার চামড়া গায়ে নেকড়ের প্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছে। এতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনার কথা বলেছে এই পরামর্শদাতা সংস্থা।
কূটনীতি ফাউন্ডেশনের যুক্তি, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বেশে ঢুকে দেশের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে স্টারলিঙ্ক। শুধু তা-ই নয়, ওয়াশিংটনের নানা মতামত নয়াদিল্লির উপর চাপিয়ে দিতে এই সংস্থাকে সুক্ষ্ম ভাবে কাজে লাগাতে পারেন ইলন মাস্ক।
উল্লেখ্য, আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মাস্ক। তিনি যে এ বার ট্রাম্পের ‘কিচেন ক্যাবিনেটে’ থাকবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে ব্যাটারিচালিত গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা ‘টেসলা’ ও সমাজমাধ্যম কোম্পানি ‘এক্স’-এর কর্ণধার কোন দফতর পাচ্ছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।