পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

দাঁতনের কাকরাজিত মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব পালিত হচ্ছে, ভক্তদের জন্য থাকছে ‘কুঁড়ি প্রসাদ’

November 15, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শ্রীশ্রীচৈতন্যদেব নদীয়ার শান্তিপুর থেকে হাজিপুর(ডায়মন্ড হারবার), তমলুক, নারায়ণগড় ও দাঁতনের সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে পুরীতীর্থে(নীলাচল ধাম) গিয়েছিলেন। এই যাত্রাপথে মহাপ্রভুর সঙ্গে ছিলেন পাঁচ শিষ্য-নিত্যানন্দ গোঁসাই, দামোদর পণ্ডিত, জগদানন্দ, মুকুন্দ গুপ্ত ও গোবিন্দদাস। চৈতন্য জীবনীকার কবি জয়ানন্দ লিখেছিলেন, ‘রজনী প্রভাতে স্বর্ণ রেখা নদী/পার হৈয়া উত্তরিলা বারাসতে/ দাঁতিন জলেশ্বর পার হইয়া উত্তরিলা আমরদাতে।’ প্রায় ৫১৪ বছর আগে মহাপ্রভুর আগমন বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার মানুষের স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল।

দাঁতন থানার ইতিহাসপ্রসিদ্ধ কাকরাজিত গ্রামে জেলার বৃহত্তম চৈতন্য মহাপ্রভু মন্দির তৈরি হয়েছে। বহুকাল ধরে এখানে মহাপ্রভুর কাঠের বিগ্রহ সাড়ম্বরে পূজিত হয়। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় কাকরাজিত মন্দির প্রাঙ্গণে সাড়ম্বরে রাস উৎসব আয়োজিত হয়। এবারও একাদশী থেকে পাঁচদিন খোল-করতাল সহ কীর্তনের মাধ্যমে চৈতন্য আরাধনা শুরু হয়েছে। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গ্রামীণ মেলা। শুক্রবার রাসপূর্ণিমার পুজোর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।

এখানে পুরনো মন্দিরের পাশেই নতুন বড় মন্দির তৈরি হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি এই উৎসবে ওড়িশা সহ ভিনরাজ্য থেকে কয়েকহাজার ভক্ত এসেছেন। উৎসবে প্রতিদিন মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের জন্য ‘কুঁড়ি প্রসাদ’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তরা কেউ সেই প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যান, আবার অনেকে মন্দিরেই বসে খান। উৎসবের কয়েকদিন কয়েকহাজার দর্শনার্থীকে কুঁড়ি প্রসাদ দেওয়া হয়। এলাকার মানুষ কাকরাজিতের মহাপ্রভুকে জাগ্রত দেবতারূপে দেখেন। গ্রামে গ্রামে গৃহস্থের কল্যাণে মহোৎসবে মহাপ্রভুর বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রদ্ধালুরা মানত করেন। বাতাসা ছড়ানো হয়, যা ‘হরির লুট’ নামে পরিচিত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kakrajito, #raas, #raas utsab, #Daanton

আরো দেখুন