মতুয়াগড়ে সদস্য সংগ্রহ মাত্র ২৫ হাজার! সংগঠনের করুণ অবস্থায় শঙ্কিত BJP
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০০-র টার্গেট নিয়ে জুটেছিল মাত্র ৭৭। লোকসাভা ভোটে ৩৫টি আসনে জয়ের টার্গেট বেঁধে ১২টিতে জিততে পেরেছিল বিজেপি। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সদস্য সংগ্রহ করতে নেমে মতুয়াগড় বনগাঁয় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি। কর্মসূচি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা থেকে তিন লক্ষের বেশি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। বিজেপির পরিসংখ্যান বলছে, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। ১৭ তারিখের মধ্যে লক্ষ্যপূরণ যে অসম্ভব তা মেনে নিচ্ছেন দলের একাধিক
নেতা-কর্মীরা।
২ সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছিল। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার অধীনে ৩০টি মণ্ডল রয়েছে। প্রতি মণ্ডল থেকে ১০,৫০০ জন করে সদস্য সংগ্রহের ‘টার্গেট’ দেওয়া হয়েছিল। খোদ বিজেপির পরিসংখ্যান বলছে, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় সদস্য হয়েছেন মোট ২৫ হাজার।
ঘোর দুর্দিনেও বঙ্গ বিজেপির আশা ছিল বনগাঁ। বিগত কয়েক লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক অটুট ছিল। বিধানসভা নির্বাচনে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার ছয়টিতেই বিজেপি জয়ী হয়। লোকসভার সবুজ সুনামির মধ্যেও পুনর্নির্বাচিত হন শান্তনু ঠাকুর। এমন করুণ দশার কারণ কী? তৃণমূলের মতে, ভোট এলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার টোপ দেয় বিজেপি। ভোট মিটলেই সব চুপ। মানুষকে বারবার প্রতারিত করার ফল ভুগছে বিজেপি। বিজেপির আদি ও নব্য গোষ্ঠীর লাগামহীন কোন্দলও দৈন্যদশার একটি কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নীচুতলার গেরুয়া কর্মী-সমর্থক-নেতারা বলছেন, ভরসা করে আম জনতা ঢেলে সমর্থন করেছিল। মানুষ এখন দূরে সরে যাচ্ছেন।