‘ধুমো’, ‘জ্যাংড়া’, দেবসেনাপতি কার্তিকেয়র বিচিত্র নামের উৎস কী?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাঁশবেড়িয়া দেবতাদের সেনাপতি, শিব-দুর্গার পুত্র কার্তিক নানান নামে পুজো পান। নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁর বেশ, পোশাক, ভঙ্গিমা। কিছু নাম স্বাভাবিক, কিছু পৌরাণিক আর কিছু নাম স্থানীয়। নেপথ্যে নানা জনশ্রুতি আছে। স্থানীয়রা বলেন, জ্যাংড়া কার্তিক আর ধুমো কার্তিক কিন্তু এক নন। তেমনই জামাই কার্তিক এবং অর্জুন কার্তিকও ভিন্ন। এসব জানতেই ভিড় করেন মানুষ। দেদার ঠাকুর দেখা আর ফুচকা-চাউমিন-বিরিয়ানি-আইসক্রিম খাওয়ার ভিড় তো আছেই।
পুরাণ অনুযায়ী, কার্তিক রাজা নন। বাঁশবেড়িয়াতে রয়েছেন ‘রাজা কার্তিক’। রাজবেশে সিংহাসনে বসে রাজা কার্তিক পুজো নেন। জনশ্রুতি মতে, কার্তিকের এই রূপের পুজো প্রায় চারশো বছর ধরে হচ্ছে। রাজা কার্তিকের দু’পাশে দু’জন প্রহরী। তাঁদের পোশাক ব্রিটিশ পুলিশের মতো। আঞ্চলিক গবেষকদের দাবি, এই পুজো ব্রিটিশদের ব্যঙ্গ বহু শুরু হয়েছিল।
‘ধুমো কার্তিক’ আকারে বড়, বহরে বড়, দশাসই চেহারা। জনশ্রুতি এবং আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষকদের মতে, সাহাগঞ্জের বিখ্যাত নন্দীদের বাড়িতে চারশো কুড়ি বছর আগে কার্তিকের এই রূপের পুজোর সূচনা হয়েছিল। ‘ধুমো’ শব্দটি আসলে স্থানীয় শব্দ। এর দু’টি অর্থ প্রচলিত। এক, ধুমসো বা মোটাসোটা। দুই ধুম বা ধোঁয়া বর্ণের। কার্তিকের গায়ের রং চাপা। কার্তিকের প্রাচীন পটচিত্রের সঙ্গে মাটির প্রতিমার মিল রয়েছে। সামান্য একটু পৃথক ভঙ্গিমায় ওই রকমের কার্তিক ‘ধেড়ে কার্তিক’ নামেও পুজো পান। জামাই বেশে সাজা কার্তিক ‘জামাই কার্তিক’, অর্জুনের মতো তীরন্দাজের ভঙ্গিমায় তৈরি কার্তিক ‘অর্জুন কার্তিক’, ছয় মাথার কার্তিক ‘ষড়ানন কার্তিক’ নামে বাঁশবেড়িয়ায় পুজো পান।
‘জ্যাংড়া’ শব্দটিও স্থানীয় শব্দ, যার অর্থ ঘোড়সওয়ার। জ্যাংড়া শব্দটিকে ভেঙে জাং বা জানু বা ঊরু অর্থেও ব্যবহার হয়। জ্যাংড়া কার্তিক ময়ূরের উপর বসে থাকেন। কিন্তু তাঁর ভঙ্গিমা ঘোড়ায় চড়ার মতো। কার্তিকের ময়ূরের মুখে বিরাট আকারের জিলিপি দেওয়া হয়। তিনশো বছরের পুরনো এই কার্তিকের নাম জিলিপি কার্তিক।
[11:18 am, 18/11/2024] SOUVIK RAJ: রবিবার ৪২ ফুটের কালী মূর্তি নিরঞ্জনে ভিড় উপচে পড়ল বুলবুলচণ্ডী বাজারে
রবিবার ৪২ ফুটের কালী প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে ভিড় উপচে পড়ল বুলবুলচণ্ডী বাজার এলাকায়। প্রতিমার কাঠামোয় দড়ি বেঁধে রথের মতো করে টেনে নিয়ে গিয়ে ডোবাপাড়া মাঠ সংলগ্ন পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।
অগণিত মানুষের পাশাপাশি নিরঞ্জনযাত্রায় পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বিশালাকার কালী প্রতিমা দেখতে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু মানুষ সমবেত হয়েছিল। এমনকী বিহারের বাসিন্দারাও দেবীর নিরঞ্জন দেখতে এসেছিলেন। নিরঞ্জন উপলক্ষ্যে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ছিল। বুলবুলচণ্ডী বাজারের কালী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল প্রতিমা নিরঞ্জন। যা দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। এবারেও তার অন্যথা হয়নি।