বাংলার ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২,৯০০ কোটি টাকা পাঠাতে চলেছে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২,৯০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর কিছুদিনের মধ্যেই টাকা পাঠানো শুরু হবে। ছয় জেলার সাতটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট হয়ে গিয়েছে। ২৩ নভেম্বর ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কোথাও নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকবে না। এবার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগ দিচ্ছে নবান্ন। কয়েকদিনের মধ্যে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষিদপ্তর বাংলার চাষিদের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। পরিকল্পনা করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কৃষক বন্ধু’ এবং ‘বাংলা শস্য বিমা’; দুই প্রকল্পের ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের আধার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কিছু উপভোক্তার ক্ষেত্রে আধার পুনর্যাচাই করে নেওয়া হবে।
চলতি অর্থবর্ষে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে টাকা দিতে চলেছে রাজ্য। লোকসভা নির্বাচনের পরপর চলতি বছরের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই জেলাভিত্তিক উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজ শেষ। মোট উপভোক্তার সংখ্যা গত বারের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে বছরে দু’টি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়। জমির পরিমাণ অনুযায়ী একজন কৃষক বছরে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার পর্যন্ত সহায়তা পেয়ে থাকেন।
২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিনে প্রকল্পের মোট উপভোক্তার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ডানা ঘূর্ণিঝড় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ফলনও ব্যাহত হয়েছে বহু জায়গায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে ৩০ নভেম্বরের পরে। ততদিন পর্যন্ত প্রকল্পে নাম তোলার আছে চলবে। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ বাবদ শস্য বিমার টাকাও কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে চলেছে নবান্ন।