“বাংলায় বুলডোজার চলবে না”, মন্দারমণি সৈকতে হোটেল ভাঙার নির্দেশের প্রেক্ষিতে হস্তক্ষেপ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, নবান্নকে অন্ধকারে রেখে মন্দারমণি ও সংলগ্ন সৈকতে হোটেলগুলো ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতেই স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও রকম বুলডোজার চলবে না বাংলায়।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিবেশ আদালতের (ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল) নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মন্দারমণির মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিশ জারি করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই এই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাতে ক্ষুব্ধ মমতা। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যে দেখা গিয়েছে নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাষায় বুলডোজার সংস্কৃতির সমালোচনা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এর আগে যোগী আদিত্যনাথ, শিবরাজ সিংহ চৌহানদের বুলডোজার সংস্কৃতির সমালোচনা করেছেন। মন্দারমণির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। কোনও ভাবেই বুলডোজার সংস্কৃতি বাংলায় কার্যকর হতে দেবেন না বলেও জানান মমতা।
জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্দেশ দেওয়ার আগে কেন নবান্নকে জানানো হল না। প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির জেলা কমিটি মন্দারমণি ও সেই সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪৪টি হোটেল, লজ, রিসর্ট ও হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। ২০ নভেম্বরে মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করতে হবে, এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি।