নলেন গুড়, কনকচূড় ধান উঠতে এখনও ঢের দেরি, কবে থেকে মিলবে খাঁটি জয়নগরের মোয়া?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জয়নগরের মোয়া! শীত না পড়লে খাঁটি মোয়া মেলে না। কিন্তু দোকানপাট, রেল স্টেশন, ট্রেন-বাসে জয়নগরের মোয়া দেদার বিক্রি হচ্ছে? জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের সাফ কথা, ওসব কিনবেন না। নকল। গুড়ের এসেন্স দিয়ে তৈরি চিনির রসের মোয়া। জিরান কাঠের নলেন গুড় ও কনকচূড় ধান ছাড়া ভাল মোয়া হবে না। কনকচূড় আষাঢ় মাসে বোনা হয়। নভেম্বর মাসের শেষে ফসল ওঠে। ডিসেম্বরে তা দিয়ে খই হয়। খেজুর গাছ মুড়ো দিয়ে পনেরো দিন পর মাঝ বরাবর চাঁচার কাজ হয়। প্রথম রস জাল দিয়ে তৈরি গুড়কে জিরান কাঠের গুড় বলে। যা খুব মিষ্টি। এই দুই জিনিস ছাড়া ভাল মোয়া তৈরি সম্ভব নয়।
মোয়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঠিকভাবে শীত পড়তে এখনও ঢের দেরি। গুড় তৈরি করতে শিউলিরা এখনও মাঠে নামেননি। কনকচূড় খই উঠতেও পনেরো দিন। তারপর তৈরি হবে মোয়া। ট্রেনে-বাসে, বাজারে, পাড়ার অস্থায়ী দোকানে অস্বাভাবিক কম দরে জয়নগরের মোয়া বলে দেদার বিক্রি হচ্ছে। ৫০, ৬০ খুব জোর ৭০ টাকা প্যাকেট। মোয়া ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ভালো মানের একটি মোয়ার দাম কম করে ২০ টাকা। যে মোয়া বিক্রি হচ্ছে তা জয়নগরের নয়। এমনকি এটিকে মোয়াও বলা যায় না। বহড়ু ও জয়নগরের ব্যবসায়ীদের আর্জি, নকল আটকাতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বিপদ।
স্বাদ এবং সুগন্ধ; দুই কারণেই জয়নগরের মোয়া জগৎবিখ্যাত। জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নামডাক জিআই পাওয়ার পর হু হু করে বেড়েছে। অক্টোবর থেকে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গুড়ের এসেন্স দিয়ে নকল মোয়া বানিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বাসে-ট্রেনে-খোলা বাজারে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার পরই মোয়ার সিজন শুরু হয়। চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।