যারা জীবনে দুর্গাপুজো করেনি, তারাই পুজো নিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে: মমতা
গত পয়লা সেপ্টেম্বর ছিল ‘পুলিশ দিবস’। কিন্তু সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক জারি থাকায় সেদিন স্থগিত রাখা হয়েছিল আনুষ্ঠানিক উদযাপন। অনুষ্ঠান হল আজ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি কথা বললেন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সর্বস্তরের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে। উদ্বোধন করলেন রাজ্যজুড়ে পুলিশ বিভাগের একাধিক নবনির্মিত ভবনের। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানা এবং গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের নতুন ভবন ও নতুন ভাবে সজ্জিত কলকাতা পুলিশের অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে সব পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আজ তুলে দেওয়া হয় সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র। ‘করোনা-যোদ্ধা’ পদক এবং শংসাপত্রও দেওয়া হয় অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে-থাকা সব স্তরের পুলিশকর্মীদের।
ছমাস ধরে চলতে থাকা করোনা পরিস্থিতিতে কি হবে এবারের বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে আমজনতার চিন্তার শেষ নেই। ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা, দেদার আড্ডা কি এবার পুজোর দিনকটাতেও দেওয়া যাবে না, পুজো যত এগিয়ে আসছে ততই যেন জাঁকিয়ে বসছে সেই চিন্তা। আর তা বাড়িয়ে দিচ্ছিল ভুয়ো এক হোয়াটসঅ্যাপ।
ভুয়ো ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লেখা, এবছর পুজোয় সারারাত ঘুরে প্রতিমা দর্শন বন্ধ। পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত বিকেল পাঁচটার পর থেকে জারি থাকবে নাইট কারফিউ। এছাড়াও লেখা রয়েছে মণ্ডপে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি প্রবেশ করা যাবে না এবং প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। অষ্টমীর অঞ্জলিতে ফুল দেওয়া যাবে না। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় শোভাযাত্রা বন্ধ রাখার কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই ভুয়ো মেসেজে।
পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, “এ কাজ কে করেছে সবাই জানে। নাম আর বলব না। যারা দুর্গাপুজো করেনি জীবনে তারা পুজো নিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। যারা ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়েছে তাদের কান ধরে ওঠবোস করাও। সরকার মিটিংই করেনি। পুজো নিয়ে সরকার এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি সবার সামনে ওঠবোস করব।”