কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিক! মাছ থেকে কী এমন ঢুকছে মানবদেহে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালি মানেই মাছ-ভাত, মাছ পাতে না পড়লে মন ভরে না বাঙালির। সেই মাছই ক্ষতি করছে মানুষের। ইদানিং বহু জায়গায় মাছ চাষে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। সেই মাছ খাওয়ার ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব পড়ছে মানুষের দেহে। তার জেরে ওষুধে সারছে না বহু রোগ। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে মানব শরীর। দেশজুড়েই বাড়ছে উদ্বেগ। কোন মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত, কখন দেওয়া উচিত, তা নিয়ে মৎস্যচাষিদের সচেতন করছে আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি)।
জানা গিয়েছে, এখন কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়। মাছেদের রোগ নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। কত পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়, তার নির্দিষ্ট মাপ আছে। যাঁরা নিয়ম মেনে অ্যান্টিবায়োটিক দেন, তাঁদের মাছ খেলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন, তাঁদের মাছই মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়। মাছের সঙ্গে সে ব্যাকটেরিয়াও মানুষের শরীরে ঢোকে। মানুষের যখন কোনও রোগ হচ্ছে, তখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেও কাজ হচ্ছে না। কারণ মাছের অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব পড়ে যাচ্ছে মানুষের শরীরে।
এতে হাজার হাজার অসুস্থ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ আগেই সতর্ক করেছে এ বিষয়ে। মাছের সঙ্গে একইভাবে খামারে চাষ হওয়া মুরগি থেকেও এই ঘটনা ঘটছে। চাষিদের সচেতন হতে হবে। কোনওভাবেই না জেনে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা চলবে না।