ভোটের আগে কয়েকদিন পরিশ্রম করে বাংলায় জেতা সম্ভব? প্রশ্ন বিজেপি’র অন্দরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির আসন ১৮ থেকে কমে ১২–তে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু কোন পথে হাঁটলে বাংলায় আবার গেরুয়া ঝড় উঠব, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। এখনও বঙ্গ–বিজেপির সংগঠন অথবা রাজনৈতিক কার্যকলাপে এমন কোনও পরিবর্তন ঘটেনি, যা দেখে মনে হবে পদ্ম–শিবির খোলনলচে বদলে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
বস্তুত পুরনো টিমের নেতৃত্বে এবং পুরোনো রাজনৈতিক স্টাইলেই উপনির্বাচন লড়ে বিজেপি। শনিবার ফল প্রকাশ হয়েছে। ছ’টি সিটের একটিতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পদ্ম প্রার্থীদের ভোট শতাংশের হার কমেছে। ২০১৪ থেকে বিজেপির দখলে থাকা আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট আসনটিও বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে।
তবে দুটি কেন্দ্র নিয়ে কিছুটা আশা ছিল বিজেপির। এক হল মাদারিহাট । আর দুই হল তালড্যাংরা। এদিকে এই দুটি আসনে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছিলেন তারা। নানা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর ভোট এল ভোটের মতোই। তারপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কিছুটা আভাসও দিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। কিছুটা আশার আলো দেখেছিল গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, তালড্যাংরায় দায়িত্বে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। গত কালীপুজোর দিন থেকে তিনি একেবারে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন এখানে। তাঁর নেতৃত্বেই একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। এখানে সৌমিত্র খাঁর উপরেও বিশেষ দায়িত্ব ছিল। কিন্তু বাস্তবে ভোটের ফলাফল বের হতে দেখা গেল শুধু পরাজিত হয়েছে সেটাই নয়, গত বারের তুলনায় প্রাপ্ত ভোট কমেও গিয়েছে।
বিপর্যয় মাদারিহাটেও। চা বলয়ের আওতায় থাকা মাদারিহাটে এই প্রথম খাতা খুলল তৃণমূল। আবার মাদারিহাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মনোজ টিগ্গা ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে। দুজনেই দিনের পর দিন ধরে এলাকায় পড়েছিলেন। নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন। নানা জনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আর ফলাফল বের হতেই দেখা গেল এখানেও কুপোকাত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি ভোটের আগে কয়েকদিন পরিশ্রম করে বাংলায় ভোটে জেতা সম্ভব নয়, এটাই কি আবার সামনে এল?