কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

অনলাইন অর্ডারের পার্সেলে মিলছে থান ইট! প্রতারণার নতুন কৌশল

November 26, 2024 | 2 min read

অনলাইন অর্ডার, প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভুয়ো পার্সেল গছিয়ে প্রতারণার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। প্রতারকরা ‘টার্গেট’ করছে সেরকম লোকজনকে, যাঁরা সারাক্ষণ অনলাইনে কিছু না কিছু অর্ডার করে চলেছেন। প্রতারণার জাল বিছিয়ে কখনও ২০০, কখনও ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ কৌশলে। দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি থানায় এমন অভিযোগ এসেছে পুলিসের কাছে। তাদের বার্তা, কাউকে টাকা দেওয়ার আগে যাচাই করে নেবেন। ২০০ হোক বা ২ লক্ষ, সন্দেহ হলেই পুলিসে খবর দিন।

কীভাবে কাজ চালাচ্ছে এই চক্র? কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার একটি থানায় এক তরুণী এসে হাজির হন। হাতে একটি বাক্স। তার মধ্যে ছেঁড়া একটি ওড়না। তরুণী জানান, বন্ধুর সঙ্গে একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট থাকেন তিনি। হঠাত্ বাড়িতে ক্যুরিয়র বয় আসে। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রুমমেট ফোন করে তাঁকে বলেন, ‘তোর নামে পার্সেল এসেছে। ২০০ টাকা চাইছে।’ তরুণী বলেন, ‘ঠিক আছে। তুই নিয়ে নে। আমি গিয়ে টাকা দিয়ে দেব।’ বাড়ি এসে সেই পার্সেল খুলে দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে একটি ছেঁড়া ওড়না। তরুণী কি সত্যিই অর্ডার করেছিলেন কিছু?

জানা যায়, একসঙ্গে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি অর্ডার করা ছিল তাঁর। ফলে কোন ‘অর্ডার’-এর পণ্য কখন আসছে, মাথায় রাখতে পারেননি। তার ফাঁকেই চলে গেল ২০০ টাকার গচ্চা! এরকমই অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ কলকাতার আরও একটি থানায়। সেক্ষেত্রে পার্সেল খুলে মিলেছে ছেঁড়া জুতো! বাক্স হস্তান্তর করে ওই তরুণীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ৫০০ টাকা। এমনকী, এভাবে একজনের পার্সেল থেকে থান ইটও মিলেছে।

ঘটনাগুলি বিশ্লেষণ করে পুলিসের ধারণা, অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা অনেক ‘অর্ডার’ করছেন, সেরকম লোকজনকেই ফাঁদে ফেলতে চাইছে এই চক্র। এই ধরেনর জালিয়াতিতে অর্থের পরিমাণ কম হলেও দিন দিন বাড়ছে এমন ঘটনা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#online frauds, #online orders, #fraudulent parcels, #cheating

আরো দেখুন