এবার পরীক্ষা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি ডাক্তারদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে অষ্টম সেমেস্টার শুরু হচ্ছে। কয়েকদিন আগে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়। ১৫ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দেন। হলে ঢোকার সময় তাঁদের চেকিং হয়। পাঁচজন পরীক্ষক গার্ড দেন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পরীক্ষার হলে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করেছে।
পরীক্ষার হলে স্বচ্ছতা আনার জন্য সরব হয়েছিলেন আর জি কর কাণ্ডের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরাই। উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠদের পরীক্ষার হলে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। দাবি করেছিলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নিলে বহু ছাত্রছাত্রী ১০ শতাংশ নম্বরও পাবে না। তাঁদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষার সময় লাইভ স্ট্রিমিং সহ বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতো কাজ হচ্ছে।
এই খবর সামনে আসতেই ‘বিদ্রোহী’রা পিঠটান দিতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম? পরীক্ষার হলে কড়াকড়ি চলবে না। পদক্ষেপ শিথিল করতে হবে। এদিন তাঁরা প্রথমে হস্টেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানান। তারপরই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। পরীক্ষার হলে কড়াকড়ির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
২০-২৫ জন পড়ুয়া ডিন এবং অধ্যক্ষের শরণাপন্ন হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘একথা ঠিক, আমাদের মূল দাবি ছিল হস্টেলে পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা করা। তা না হলে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। তবে, সাপ্লি পরীক্ষায় কড়াকড়ি হওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত। সেকারণেই তা কিছুটা শিথিল করার জন্য বলা হয়েছে।’ যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘সামনেই আমাদের পিজিটি পরীক্ষা। তা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। আমরা অধ্যক্ষের কাছে যাইনি। জুনিয়ররা গিয়েছিলেন।’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পড়ুয়ারা এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এসেছিল। পরীক্ষার হলে গার্ডের বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যভবন যে গাইডলাইন দিয়েছে সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। লাইভ স্ট্রিমিংও করা হবে। ওদের হস্টেলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’