টয়ট্রেনের হেরিটেজ স্বীকৃতির ২৫ বছর পূর্তি, উদযাপনে কী পরিকল্পনা নিচ্ছে DHR?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাহাড়ের পাকদণ্ডী পেরিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলে টয়ট্রেন, দার্জিলিং বলতেই এ দৃশ্য ভেসে ওঠে আমাদের চোখের সামনে। পর্যটকরা ছুটে আসেন এই মিনি ট্রেনের টানে। আজও এটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন হেরিটেজ শিরোপা পেয়েছে। সেই হেরিটেজ শিরোপার এবার ২৫ বছর পূর্তি। তার উদযাপনে একাধিক চমক নিয়ে হাজির দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে৷
১৮৭৮ সালে মিটার গেজ রেললাইনের মাধ্যমে কলকাতার সঙ্গে প্রথম শিলিগুড়ি যুক্ত হয়। সেই সময় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ঘোড়ায় টানা টাঙা গাড়ি ছাড়া আর কোনও অবলম্বন ছিল না। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির এক এজেন্ট রেলপথে দার্জিলিংকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। গভর্নর অ্যাশলে ইডেন সেই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেন। মিটারগেজের ট্রেন ভারী হওয়ায় ন্যারো গেজের ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গিলেন্ডারস আরবাথনট অ্যান্ড কোম্পানি এই রেলপথ নির্মাণ করে।
১৮৮০ সালের ২৩ অগস্ট শিলিগুড়ি-কার্শিয়াং অংশটি চালু হয়। দার্জিলিং পর্যন্ত লাইনের সম্প্রসারণ করে ১৮৮১ সালের ৪ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং লাইন চালু হয়। ৮৮ কিলোমিটারের রেলপথ রয়েছে ন্যারো গেজ রেললাইনে। প্রায় ৭,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ঘুম বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন। স্বাধীনতার পর টয়ট্রেনকে ভারতীয় রেল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের আওতায় নিয়ে আসে।১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ডিএইচআরকে হেরিটেজ শিরোপা প্রদান করে।
টয়ট্রেনকে আরও বেশি প্রচারের আলোয় আনতে ২০২০ সাল থেকে ঘুম উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এবং টয়ট্রেনের ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হয় সেখানে। চালানো হয় স্পেশাল জয়রাইড। সঙ্গে থাকে পাহাড়ের লোকসংস্কৃতির নাচ-গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলতি বছরেও আজ, অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর ফেস্টিভ্যালের সূচনা হবে। ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো ব্রিটিশ আমলের তিনটি স্টিম ইঞ্জিনের ইতিহাসকে তুলে ধরা হবে।