ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে আগামী ৪ ডিসেম্বর উদ্বোধন ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের, কোন ছবি গুলো দেখবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ৪ ডিসেম্বর কোলকাতার আলিপুরে ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে উদ্বোধন হবে ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। উৎসব চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের উদ্বোধনী ছবি তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’। এবার প্রায় আড়াই হাজার ছবি দেখাৰ আবেদন জমা পড়েছিল সারা বিশ্ব থেকে। তার থেকে বাছাই করা ১৭৫টি ছবি এবার দেখানো হবে। এবারের উৎসবে অংশ নিতে আসছেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালন, চলচ্চিত্র পরিচালক আর বাল্কি সহ আরও অনেকে। এবারের উৎসবের থিম সং লিখেছেন ও গেয়েছেন নচিকেতা। গানের ভাবনায় ও সৃজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিক সম্মেলনে উন্মোচিত হয় উৎসবের লোগো, থিম সং। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, বিরবাহা হাঁসদা, উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিব শান্তনু বসু, অলিয়স ফ্রাঁসো ডিরেক্টর নিকোলা ফাসিনো ও অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। এবার ২৪৫৯টি ফিল্ম থেকে বাছাই করা হয়েছে ১৭৫টি ছবিকে। প্রতিযোগিতা বিভাগে রয়েছে ৪২টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি, ৩০টি ছোট ছবি ও তথ্যচিত্র।’ এছাড়াও ১০৩টি ছবি প্রদর্শিত হবে। মোট ২৯টি দেশের ছবি শহরজুড়ে ২০টি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে। এদিন উন্মোচিত হয় রয়াল বেঙ্গল টাইগার ট্রফি, যা দেওয়া হবে প্রতিযোগিতায় জেতা সেরা ছবিকে।
৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতবর্ষ ট্রিবিউট জানানো হচ্ছে ১১জন সিনেমার ব্যক্তিত্বকে। এর মধ্যে রয়েছেন তপন সিনহা, হরিসাধন দাশগুপ্ত, অরুন্ধতী দেবী, মহম্মদ রফি, তালাত মাহমুদ, মার্লন ব্র্যান্ডো, মদন মোহন প্রমুখ। এছাড়াও বিশেষ ট্রিবিউট দেওয়া হচ্ছে কুমার সাহানি, অনুপ কুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম হালদার, মনোজ মিত্র, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী প্রমুখকে।
৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ বলেন, ‘উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর ‘চোখ’ ছবিটি আসল ৩৫ এমএম প্রজেকশনে রাধা স্টুডিওতে দেখানো হবে। গৌতম ঘোষের ‘পরিক্রমা’ নামের একটি ছবিও দেখানো হবে উৎসবে।’ গৌতম হালদারের ‘ভালো থেকো’, মনোজ মিত্র অভিনীত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ দেখানো হবে।
৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ফোকাস কান্ট্রি ফ্রান্স। সেই দেশের ২১টি ছবিও দেখানো হবে এবছর। এছাড়াও প্রতিদিন থাকবে সিনে আড্ডা, সেমিনার। ৬ ডিসেম্বর সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচার দেবেন চলচ্চিত্র পরিচালক আর বাল্কি। সেদিনই শিশির মঞ্চে হাজির থাকবেন বিদ্যা বালন। মারাঠি থিয়েটার পরিচালক জব্বর প্যাটেলও উপস্থিত থাকবেন। বিলুপ্ত প্রায় ভাষার ৬টি ছবিও দেখানো হবে।
এছাড়াও চলচ্চিত্র উৎসবের এই ৩০ বছরের পথচলা নিয়ে একটি প্রদর্শনী থাকবে নন্দন ফয়ারে।