শুরুতেই হোঁচট খেল মোদীর ইন্টার্নশিপ প্রকল্প, স্থগিত হয়ে গেল বেকারত্ব দূরীকরণের প্রকল্প
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশজুড়ে বেকারত্ব ঘোচাতে সোমবার থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ প্রকল্প। কিন্তু তার আগে হঠাৎ স্থগিত নরেন্দ্র মোদীর সাধের সেই কর্মসূচি। নয়াদিল্লির অন্দরে চাপা গুঞ্জন যে, এখনও সরকার প্রস্তুত নয়। তাই সময়সীমা আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কবে থেকে চালু হবে এই ইন্টার্নশিপ প্রকল্প? সেই উত্তর পাওয়া যায়নি। সাড়ে ৬ লক্ষ আবেদনপত্রের বাছাই প্রক্রিয়া কি শুরু হয়েছে? সেব্যাপারেও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি কোনও বিবৃতি। আবেদনপত্র বাছাই করার পর মনোনীত ইন্টার্নদের ডাকার পদ্ধতি কবে থেকে? এরকম হাজারো প্রশ্ন নিয়ে আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। সংসদ থেকে নির্বাচনী সমাবেশ সর্বত্র এই প্রকল্প নিয়ে উচ্চগ্রামের প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। কিন্তু লোকসভা ভোট এবং তৎপরবর্তী চার রাজ্যের ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার ঠিক পরেই তা হঠাৎ স্থগিত কেন? এই প্রশ্নই বিরোধীদের। জানা যাচ্ছে, আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি, দেশের প্রধানতম সমস্যা এই দু’টি। এই নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ এবং আম জনতার দুর্ভোগ সমানভাবে অব্যাহত। ২০২২ সালের জুন মাসে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার আয়োজন করা হয়েছিল রোজগার মেলা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানা যায় এটাও অতিরিক্ত কোনও কর্মসংস্থান নয়।
চিরাচরিত প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, মেডিক্যাল টেস্ট পদ্ধতিতে যারা সরকারি চাকরি পেয়ে আসছে, তাদের বাড়িতে নিঃশব্দে নিয়োগপত্র না পাঠিয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে রোজগার মেলা নামক মেগা ইভেন্ট। সুতরাং তখনই বোঝা গিয়েছিল কর্মসংস্থানের সমাধান হচ্ছে না। এরপর নতুন প্রচার ও ঘোষণা সামনে আসে। বিগত বাজেটে ঘোষণা করা হয় ইন্টার্নশিপ প্রকল্প। দেশের কর্মপ্রার্থীদের সহায়তা করা হবে। তবে চাকরি নয়, ইন্টার্নশিপ। মাসে দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড। তার মধ্যে ৪৫০০ টাকা দেবে সরকার। ৫০০ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার। সেটাও নেওয়া হবে তাদের প্রতিশ্রুত কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি খাতের বরাদ্দ থেকে। পাইলট প্রকল্পে ২৪টি সেক্টরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ইন্টার্ন পদে নেওয়া হবে আবেদনকারীদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টেনশন বাড়িয়ে দিল অনিশ্চয়তার আবহ। নিছক তারিখ বদল? নাকি প্রকল্প স্থগিত? তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আবেদনকারীরা।