পানীয়জল নিয়ে হেল্প লাইন চালু নবান্নর, জমল অভিযোগের পাহাড়
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মানুষের কাছে পানীয়জল ঠিকভাবে পৌঁছছে না বলে একাধিকবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে সম্প্রতি বৈঠকেও বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই কড়া পদক্ষেপ করল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার অভিযোগ সামনে এসেছে। ৪৬৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ১৯০৬২ জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহার রোধে ইতিমধ্যেই হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। পানীয় জল সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানাতে হলে ৮৯০২০৫২২২২ ও ৮৯০২০৬৬৬৬৬ যেকোনও নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “প্রায় তিন মাস ধরে মন্ত্রী গোষ্ঠী দেখছে। পাইপ কেটে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে। গ্রামে জল ঢুকছে না। ডিপিআর ভুল কিছু জায়গায়। তাই জল যাচ্ছে না। কেউ পাইপ কেটে জল সেচে ব্যবহার করছে। এটা বেআইনি। সেচে জল না পেলে সেচ দফতর দেখবে। খাবার জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ ভুল টেন্ডার, কেউ ভুল ডিপিআর করেছে। ৪৪৮টি অভিযোগ এসেছে। খাবার জলের পাইপ কাটা অন্যায়। এটা করলে ফৌজদারি মামলা হবে। গ্রেপ্তার হবে। ১৮২৩০ স্থানে মিসইউজ হয়েছে। কেন বিডিও, কেন এসডিও দেখেনি এগুলো। কোনও নেতার কথা শুনবেন না। কোনও রাজনৈতিক দলের কথা শুনবেন না। কোনও পুলিশ কমপ্রোমাইজ করবেন না। দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে। এছাড়া নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অভিযোগ এসেছে। সবচেয়ে ভালো অবস্থা কালিম্পংয়ের। সেখানে এর অপব্যবহার নেই।”
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ৯ লাখের বেশি পরিবার-এর জন্য জল পাচ্ছে না। রেলওয়ের জন্য প্রায় এক লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না। ইন্ডিয়ান অয়েলের জন্য প্রায় ৩৯ হাজার পরিবার এবং ন্যাশনাল হাইওয়ের জন্য প্রায় ১ লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না। ডিভিসি খালি বন্যার জল ছাড়ে, পানীয় জল দেয় না। প্রায় তিন লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না। ওরা খালি বাংলাকে ডোবায়। IWAI এর জন্য ১১ লক্ষ মানুষ, এয়ারফোর্স, বিআরও, জন্য একাধিক পরিবার জল পাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না কেন্দ্রের অসহযোগিতায়। মুখ্যসচিব এই নিয়ে অফিসিয়াল মিটিং করবেন।”
জমি অধিগ্রহণ নিয়েও কেন্দ্রকে এক হাত নেন মমতা। বলেন “পাইপে যতক্ষণ না জল যাবে, ততক্ষণ অবধি নতুন জমি অধিগ্রহণ নয়। কারণ কোটি কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনতে হয়। ভোটের আগে বলবে ঘর ঘর কা পানি। এদিকে আমাদের টাকা দিয়ে কাজ করতে হয়। কেউ যেন না ভাবে রাজ্য সরকার তার সম্পত্তি।”