নদীয়ার খেজুরের গুড়ে মজেছেন হাওড়াবাসী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীত পড়তেই হাওড়া শহরে গুড়ের মিষ্টি কিনতে দোকানগুলিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ফি বছর শীতের মরশুমে হাওড়া শহরে এসে গুড় সরবরাহ করেন নদীয়ার গুড় ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক বছর ধরে শহরের ছোট-বড় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে নলেন ও পাটালি সরবরাহ করে রীতিমতো লাভের মুখ দেখেছেন নদীয়ার গুড় ব্যবসায়ীরা।
বেথুয়াডহরির চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বাশার শেখ গত ২০ বছর ধরে হাওড়া শহরের প্রায় ৩০-৩৫টি দোকানে নলেন গুড় সরবরাহ করছেন। তাঁর কথায়, আশপাশের ছ’-সাতটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শিউলি খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় শীতের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই কোমর বেঁধে খেজুড়ের রস সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছেন শিউলিরা। সেই রস বড় বড় কড়াইয়ে পাক দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের গুড়।
প্রায় ২২ কেজির একেকটি ড্রামে ঝোলা গুড় ভরে বেথুয়াডহরি থেকে সকালের লালগোলা এক্সপ্রেস ধরে শিয়ালদহে চলে আসেন ব্যবসায়ীরা। তারপর সটান হাওড়ায়। আবদুল বাশার বলেন, ‘হাওড়া ময়দানে বাস থেকে নেমে টোটোয় করে বিভিন্ন দোকানে গুড় সরবরাহ করি। প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় আড়াইশো কেজি। বিক্রিবাটা সেরে ফের রাতের ট্রেনে বেথুয়াডহরি ফিরে আসি।’
খেজুরের গুড়, নলেন, পাটালির কারবার চলে শীতের মরশুমে। বছরের বাকি সময় গুড় ব্যবসায়ী ও শিউলিরা চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গুড় বিক্রি করে ভালো অঙ্কের লাভ পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ নলেন গুড়ের পাইকারি দর কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় সরবরাহ করেন তাঁরা। তবে জিরেন কাটের গুড়ের দাম কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা হবে। বিশেষ ধরনের এই গুড় জানুয়ারির প্রথমদিকে হাড় কাঁপানো শীতের সময় মিলবে বলে জানিয়েছেন বাশার সাহেব।