লেভি দিতে নিমরাজি কমরেডরা? সিঁদুরে মেঘ দেখছে আলিমুদ্দিন!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সিপিএম বরাবর দাবি করে, তারা সর্বহারার দল। জনগণের টাকা সাফ কথায় ক্রাউড ফান্ডিং এবং পার্টি কর্মীদের লেভিতেই তাদের দল চলে। পার্টি চালানোর ক্ষেত্রে সদস্যদের লেভিই সিপিএমের শক্তি। সেই লেভি দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্টি সদস্যদের মধ্যে অনীহা দেখছে আলিমুদ্দিন। লেভি কম দিতে পার্টির কাছে আয় গোপন করছেন অনেকেই। পার্টির রাজ্য সম্মেলনের আগে আয় গোপন করার প্রবণতা রোখার পথ খুঁজতে চিন্তিত আলিমুদ্দিন।
নয়া বছরের ফেব্রুয়ারিতে হুগলির ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। ডিসেম্বরের মধ্যে এরিয়া সম্মেলন শেষ হয়ে যাবে। তারপরই জেলা সম্মেলন শুরু হবে। জানুয়ারি থেকে সদস্যপদের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হবে। তবে পার্টি সদস্যদের বড় অংশ আয় গোপন করে লেভি কম দিচ্ছে বলে রিপোর্ট গিয়েছে পার্টির শীর্ষস্তরে। এই প্রবণতা রোখার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না রাজ্য সিপিএম। অনেকের আবার একাধিক মাস ধরে লেভি বকেয়াও থাকছে।
সংগঠন দুর্বল, বিধানসভা ও লোকসভা একের পর এক ভোটে সিপিএম শূন্য! এহেন পরিস্থিতিতে লেভি নিয়ে কড়া মনোভাব নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই মত দলের অন্দরে; এমনই জানা যাচ্ছে। কড়াকড়ি হলে অনেকেই পার্টির সদস্য ছেড়ে দিতে পারেন। উল্লেখ্য, সিপিএম-র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পার্টির সদস্য হতে গেলে আয়ের ভিত্তিতে মাসিক চাঁদা দিতে হবে। পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়, তাঁদের মাসে সেই আয়ের উপর ০.৫ শতাংশ লেভি দিতে হয়। যাঁদের আয় আবার ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, তাদের লেভির হার আয়ের ২ শতাংশ। একাধিক ধাপ রয়েছে।
সিপিএমের দলীয় সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত পার্টি সদস্যদের আয় গোপন করার প্রবণতা রয়েছে বলে মনে করছেন পার্টির শীর্ষনেতারা। পার্টি চালাতে ও দলের সর্বক্ষণের কর্মীদের ভাতা এবং সংগঠনের একাধিক খরচ সামলাতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। কোনও সদস্য যদি লেভি কম দেন, তাহলে পার্টি চালানোর উপর প্রভাব পড়ে। এতেই চিন্তিত আলিমুদ্দিন।