রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর সমস্যার সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সংসদের

December 10, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আসন্ন। তার আগেই দ্বাদশ শ্রেণির এই বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নয়া পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যদিও, প্রকারান্তরে বলা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর সমস্যার সমাধান করতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেখানো পথেই হাঁটল তারা।

গতবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্রের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। তবে, উন্নত প্রযুক্তির ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। তবে, এবার দোষীদের চিহ্নিত করার চেয়ে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতেই জোর দিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রথম ধাপ হিসেবে বিভিন্ন জেলার জয়েন্ট কনভেনরদের বদল করেছিল তারা। এবার সরাসরি পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বছরই প্রথম সবক’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রশ্নপত্র বিতরণের পদ্ধতিকেও ঢেলে সাজা হয়েছে।

এতদিন প্রশ্নপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল সর্টিং বা বাছাই। প্রয়োজন অনুযায়ী সেটা কাস্টডিয়ানের (থানা) কাছ থেকে পৌঁছে যেত পরীক্ষাকেন্দ্রে ভেন্যু সুপারভাইজার বা সেন্টার ইনচার্জের ঘরে। পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে তা হলে পৌঁছে দেওয়া হতো। এই সময়ের মধ্যেও ঘটে যেতে পারে অনেককিছু। তাই এবার সর্টিং প্রক্রিয়াকেই আর রাখা হচ্ছে না। এমনভাবে প্যাকেট করা হচ্ছে যাতে, একেবারে পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তা খোলা যায়। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কাস্টডিয়ানদের কাছ থেকে সেন্টারগুলিতে প্রশ্ন যাবে। সেগুলিতে পৃথক ভেন্যুর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট চিহ্নিত করা থাকবে। সেই অনুযায়ী প্রশ্নপত্র যাবে ভেন্যুতে। সেখানে প্যাকেট খোলার পরে ২০টি এবং ১০টি করে প্রশ্নপত্রের একেকটি প্যাকেট থাকবে। হলের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সেই প্যাকেটগুলি ঘরে নিয়ে গিয়ে খুলবেন পরীক্ষা পরিদর্শক। অর্থাৎ কোনওভাবেই খোলা প্রশ্নপত্র ঘর পরিবর্তন করবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#HS Exam, #question paper, #WBSCHE

আরো দেখুন