সংসদকে ভন্ডুল করারই চক্রান্ত করেছে সরকার! মনে করছে বিজেপির একাংশও

সরকার পক্ষ কিছু আলোচনায় সায় দেয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সংসদীয় রীতি তথা ধারার বদল ঘটিয়ে নরমপন্থা নেয়। এভাবেই আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়

December 10, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ফাইল ছবি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সংসদ অচল করার জন্য সরকারই দায়ী বলে বিরোধীরা লাগাতার তোপ দাগছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি থেকে উদ্ধবের শিবসেনা—সকলেরই বক্তব্য, সরকারপক্ষের আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে, তারা চাইছে না সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চলুক। বিরোধীরা প্রত্যেক অধিবেশনেই কিছু দাবি ও ইস্যু উত্থাপন করবে। কিছু ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাবে। সরকার পক্ষ কিছু আলোচনায় সায় দেয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সংসদীয় রীতি তথা ধারার বদল ঘটিয়ে নরমপন্থা নেয়। এভাবেই আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু এবার সরকার পক্ষ মাঝেমধ্যেই এমন কিছু প্রসঙ্গ ও মন্তব্য করছে, যাতে সংঘাত চরমে ওঠে।

বিরোধীদের অভিযোগ , এই প্রবণতা লাগাতার দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যেহেতু কংগ্রেস তাঁকে বিদ্ধ করছে, তাই যেনতেনপ্রকারেণ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে সংসদকে ভণ্ডুল করারই চক্রান্ত করেছে সরকার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, সোমবার থেকে বিজেপির সংসদীয় দলের অন্দরেও মৃদু অসন্তোষের আঁচ। কেন শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনার পথ থুলতে চাইছে না তা বুঝে উঠতে পারছেন না এমপিদের একটি বড় অংশ। যদিও প্রকাশ্যে কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করছেন না।

বিরোধীদের আক্রমণের অভিমুখ প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে রক্ষা করতে বিজেপি তথা সরকারপক্ষ এমন অনড় মনোভাব নিয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম আর এই অধিবেশনে হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। হয়তো সংবিধান নিয়ে চারদিনের আলোচনা হবে এবং তারপরই শেষ হবে সংসদের এই অধিবেশন। বহু বিজেপি এমপি মনে করছেন এবার সরকার পক্ষের এই জেদ ধরে রাখা অযৌক্তিক। কারণ স্পষ্ট হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতেই সরকার ব্যস্ত। সংসদ চালাতে নয়। আর এর জেরে বিরোধীরা আরও সুযোগ পাচ্ছে সরকারকে কোণঠাসা করার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen