মর্মাহত জয় গোস্বামী, কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দু’বাংলার প্রিয় কবি। পাঁচ দশক ধরে জন্ম দিয়েছেন অসংখ্য কবিতার। পাঠকদের মনে মণি-মুক্তোর মতো জায়গা করে নিয়েছেন মেঘবালিকা, বেণীমাধবরা। এক বছর আগেই তাঁর কবিতা প্রকাশের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। তিনি জয় গোস্বামী।
আচমকাই তাঁকে ঘিরে ভাইরাল খবর! কবির অবসরে সংসারের হাল ধরতে সহধর্মিণী নাকি হোম ডেলিভারি করছেন? সমাজমাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটতে বেশি সময় নেয়নি। যাঁরা জয় গোস্বামীর একটি কবিতাও আজন্ম পড়েননি, তাঁদেরও কেউ কেউ গুজবের চাদর গায়ে চড়িয়ে প্রচারের লোভে নেমে পড়েছেন ময়দানে। তবে তাঁরা বোঝেননি, এই ময়দান নেহাতই ফেক নিউজের। আর সেই গুজব-খবরেই কবি ক্ষুব্ধ। মর্মাহতও। গভীর আঘাত বুকে নিয়েই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাগুলো এডিট করা হয়েছে। অন্নের অভাব তাঁর একেবারেই নেই। বরং কাজের সুযোগ এবং যথাযথ মর্যাদা—দুটোই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর হোম ডেলিভারি? স্ত্রী সেটা করে থাকেন শখেই।
গত বছর কলকাতা বইমেলার আগে ‘জয় গোস্বামীর কবিতা প্রকাশের ৫০ বছরে’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই ঘোষণা করেছিলেন, লেখা চালিয়ে গেলেও আর কবিতা প্রকাশ নয়। কবিতা প্রকাশের পূর্তির ৫০ বছর উদযাপন তিনি তাঁর রচনা প্রকাশ বন্ধের মাধ্যমেই করতে চেয়েছিলেন। অনুরোধ ছিল, দয়া করে আমাকে কেউ ফোন করবেন না। চিঠিও লিখবেন না। তারপরই কিছুটা অন্তরালে চলে যান কবি। সল্টলেকের ছোট্ট ফ্ল্যাটে ব্যক্তিগত কাজকর্মে মগ্ন।