পান থেকে চুন খসলেই ‘অপমানিত’ রাজ্যপাল
২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে অভিষিক্ত হয়েছেন জগদীপ ধনখড়। এরপর থেকেই তিনি কারণে অকারণে একাধিকবার বিভিন্ন বাদ বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রাজ্য সরকারের সঙ্গে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি দাবি করেন যে তাকে ‘অপমানিত’ করা হয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসির খোড়াকেও পরিণত হয়েছেন তিনি।
দেখে নেওয়া এমনই কিছু ‘অপমান’ জনক ঘটনা:
বিসর্জন কার্নিভ্যালে ‘অপমানিত’
২০১৯ সালের ২৩শে অক্টোবর রাজ্য সরকার আয়োজন করে রেড রোড বিসর্জন কার্নিভ্যালের। সেখানে একটি মঞ্চে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৃথক একটি মঞ্চে রাজ্যপালের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে অন্যান্য অতিথিরাও ছিলেন। এই নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেছেন, পুজো কার্নিভালের রাতে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। তাঁকে সেন্সর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।
সুন্দরবনে ‘অপমানিত’
এরপর ২২শে অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কার্যত অপমানজনক ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ধামাখালি প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল তোপ দাগলেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
শিলিগুড়িতে ‘অপমানিত’
২৬শে অক্টোবর শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যের তরফে বৈঠকে কেউ না যাওয়ায় আবারও ‘অপমানিত’ বোধ করেন মহামহিম।
চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অপমানিত’
৯ই নভেম্বর রাজ্য সরকার আয়োজিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তিনি রাজ্য প্রশাসনের ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন।
হেলিকপ্টার না পেয়ে ‘অপমানিত’
২০১৯ সালের ১৫ই নভেম্বর রাস উৎসবে যোগ দিতে রাজ্যপালের শান্তিপুর সফরের জন্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিল রাজভবন। প্রশাসনিক কারণে সরকার তা দিতে পারবে না বলায় রাজ্যপালের অসৌজন্যের অভিযোগ করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অপমানিত’
৪ঠা ডিসেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। কিন্তু সেই বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও ধনখড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উপাচার্যের ঘর তালা বন্ধ ছিল। যথারীতি ‘অপমানিত’ বোধ করেন উনি।
বিধানসভায় ‘অপমানিত’
৫ই ডিসেম্বর সকালে বিধানসভায় উপস্থিত হন ধনখড়। অধিবেশন বন্ধ থাকায় ভিআইপি গেট বন্ধ ছিল। বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অপমানিত’
২২শে ডিসেম্বর ছাত্র বিক্ষোভের আশঙ্কায় বাতিল করা হয়েছিল যাদবপুরের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এই ঘটনায় ফের একবার অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে এবার উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের লাইভ সম্প্রচার না হওয়ায় অপমানিত
১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা টিভিতে লাইভ সম্প্রচারিত হয় কিন্তু ৭ই ফেব্রুয়ারি তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয়নি, সেই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অপমানিত’
১৪ই ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব ,রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কিন্তু এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাকে কিছুই জানানো হয়নি, দাবি ‘অপমানিত’ ধনখড়ের
মহামহিম রাজ্যপাল এরপর আবার ‘অপমানিত’ বোধ করলে এই প্রতিবেদনটি আমরা আপডেট করে দেব।