মোদী আমলে রেল ইঞ্জিন দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য PAC রিপোর্টে

২০১৯-‘২০ অর্থ বছর থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে শুধু ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল।

December 16, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
————ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৯-‘২০ অর্থ বছর থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে শুধু ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। রেলের আধুনিকীকরণ নিয়ে গালভরা দাবি করেছিল মোদী সরকার। তার আগে পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন লোকোমোটিভ কারখানায় যত ডিজেল ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে, তাতে কি দুর্নীতি রয়েছে? পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলছে। ১২ ডিসেম্বর সংসদে পেশ করা রিপোর্টে সরাসরি মোদীর প্রথম দফাকে নিশানা করেছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। রেল ইঞ্জিন দুর্নীতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সেখানে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোটি কোটি টাকার হিসেব বহির্ভূত পেমেন্টের হদিশ মিলছে।

ডিজেল ইঞ্জিন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘চ্যানেল এয়ার বক্স’ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না সরবরাহ করায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি একপ্রকার বাতিল করেছিল রেলের বারাণসী লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (বিএলডব্লু)। তখন নাম ছিল ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (ডিএলডব্লু)। দেরিতে সাপ্লাই আসায় উপাদান গ্রহণ করা হয়নি। আশ্চর্যজনকভাবে, কোনও অজানা কারণে ফের সরবরাহের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হত। কয়েকদিন আগেই বাতিলের খাতায় চলে যাওয়া জিনিস ফের নিয়ে নেয় রেল। আলাদাভাবে কয়েক কোটি টাকাও দেওয়া হয়।

প্রশ্ন উঠছে, বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও হঠাৎ কার নির্দেশে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হল? সাপ্লাইয়ের সময়সীমা বাড়ল কীভাবে? ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার হিসেব বহির্ভূত পেমেন্ট। পেমেন্ট যদি বাড়তি হয়, তাহলে তা কার নির্দেশে হয়েছে? করের টাকায় খোলামকুচি! সংসদে পেশ করা রিপোর্টে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি জানিয়েছে, কার নির্দেশে কেন এভাবে সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানতে কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি রেলমন্ত্রক। প্রশ্ন তোলায় রেল জানায়, ২০১৮ সালের ১ জুন ‘জয়েন্ট প্রসিডিওর অর্ডার’ (জেপিও) মেনেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। এতেও সন্তুষ্ট হয়নি সংসদীয় কমিটি। নয়াভাবে পর্যালোচনার সুপারিশ করেছে তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen