রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মেদিনীপুরে ‘চারুকলা উৎসব’, আয়োজনে মহিষাদলের বিশ্বকলা কেন্দ্র

December 16, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মহিষাদলের বিশ্বকলা কেন্দ্র বাংলার গ্রামীণ লোকশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে ‘চারুকলা উৎসব’-এর আয়োজন করেছে। সংস্থার সম্পাদক বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, ‘বাংলার নিজস্ব ঘরানার আলপনা চর্চা বাড়াতে এবং গয়নাবড়ির সংস্কৃতি বাঁচাতেই চারুকলা উৎসব। মহিষাদলের গয়নাবড়ি জিআই স্বীকৃতি পেতে সবাইকে লড়াই করতে হবে। শুধু চারুকলা উৎসব নয়, বিশ্বকলা কেন্দ্র বছরভর নানা সামাজিক কাজ করে থাকে।’

এবার সতীশচন্দ্র সামন্তের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। সতীশচন্দ্র সামন্ত আঞ্চলিক সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্ব দিতেন। মেদিনীপুরের সংস্কৃতি বিকাশে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। বিশ্বকলা কেন্দ্রও চারুকলা উৎসবের মাধ্যমে বাংলা ও মেদিনীপুরের সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর দুদিন ধরে আলপনা আঁকা, গয়নাবড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। রবিবার সকাল ৭টায় সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্মভিটে গোপালপুরে তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্বকলা কেন্দ্রের সদস্যরা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ছোটদের ও সর্বসাধারণের আঁকা প্রতিযোগিতা। বড়দের আঁকা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল সতীশচন্দ্র সামন্ত অথবা মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী।

রবীন্দ্র পাঠাগারের সামনে বাসস্টপে শুরু হয় গয়না বড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা। শীতের সকালের মিষ্টি রোদে বসে বিউলি ডাল দিয়ে নানা নকশার বড়ি তৈরি করে চমক দেন মহিলারা। সারা বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার জন্য অপেক্ষা করেন দুই মেদিনীপুরের মহিলারা। প্রায় ৫৫জন মহিলা যোগ দিয়েছিলেন এবার।

বিশ্বকলা কেন্দ্রের উদ্যোগে মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগার ঘিরে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর শনিবার চারুকলা উৎসবের সূচনা হয়। দুই মেদিনীপুরের প্রায় ৬০জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। গয়েশ্বরী গার্লস স্কুল রোড জুড়ে আলপনা আঁকা দেখতে ভিড় করেন শয়ে শয়ে মানুষ। বিকেলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও তাৎক্ষণিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল নজর কাড়া। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ বিপন্ন’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#midnapore, #Mahishadal Vishwakala Kendra, #Fine Arts Festival

আরো দেখুন