বাংলায় গড়ে উঠবে ‘গ্লোবাল ট্রেডিং হাব’, কী উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিদেশি বিনিয়োগ আনতে জোর দিয়েছে বাংলা। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাকে দেশ ও বিদেশের শিল্প ও উদ্যোগপতিদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্য। বাংলাকে ভারতবর্ষের ‘গ্লোবাল ট্রেডিং হাব’ হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৬টি নয়া নীতি প্রণয়নে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছয় নীতি প্রণয়নে ঝাঁপাচ্ছে বাংলার শিল্পমহল।
বালি খনন নীতি ২০২১ অনুযায়ী সাতটি পর্যায়ে বালি খাদান ব্লকের নিলাম হয়েছে। চলছে অষ্টম পৰ্বের কাজ। গৌরাঙ্গডিহি এবিসি কয়লা খনিতে সংশোধিত পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে সেখানে। রাইয়তী ল্যান্ড মাইনিং নীতি প্রয়োগে ৮৭টি লেটার অফ ইনটেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তার কাজ শুরু হওয়ার কথা। ড্রেজিং অর্থাৎ পলি উত্তোলনে জোর দেওয়া হয়েছে। যা নদী রক্ষায় সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে ‘চারুকলা উৎসব’, আয়োজনে মহিষাদলের বিশ্বকলা কেন্দ্র
দ্বিতীয় নীতি হল শিল্পোন্নয়ন, এতে শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলি ডিজিটালি জরিপ করা হয়েছে। নতুন মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। তৃতীয় নীতি হল কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন। দক্ষতার উন্নতি ঘটিয়ে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে ১৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইজ টু ডুয়িং বিজনেসে অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন ওয়েব পোর্টাল চালু হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন নীতি ২০২৩, লজিস্টিক নীতি ২০২৩, অর্থনৈতিক করিডোর নীতি ২০২৩ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নীতি ২০২৩-এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের গ্লোবাল ট্রেডিং হাব হিসাবে বাংলাকে তুলে আনা, শিল্পের বৃদ্ধির জন্য গ্রিন লজিস্টিকসে নজর দেওয়া, হাইওয়ে বরাবর বিজনেস করিডোরের উন্নয়ন ঘটানো ও দূষণমুক্ত শক্তি উৎপাদনে বৃহৎ বিনিয়োগ আনাই এই নীতিসমূহের লক্ষ্য। গ্যাস পরিকাঠামো রূপায়ণেও জোর দেওয়া হয়েছে। ১৭ লক্ষ শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে। চা পর্যটন নীতি ২০১৯ প্রয়োগ করে ৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ৩১৬.৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। যাবতীয় উদ্যোগের উদ্দেশ্য বাংলায় শিল্প ও বিনিয়োগ নিয়ে আশা।