চীনের চোখ মালদহে, কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশের সাম্প্রতি অস্থিরতার জেরে চীনের সঙ্গে বাংলার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা এমন মনে করছেন। মালদহের আম গাছ হয়ে উঠতে চলছে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সেটু। ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে।
কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও, ব্যবসায়িক সম্পর্কে তার প্রভাব নেই। ভারত চীন নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে, তবে দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ছে। গত আর্থিক বছরে আমেরিকাকে টপকে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক বন্ধু হিসাবে উঠে এসেছে চীন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চীন ও ভারতের মধ্যে ১১৮.৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১১৮.৩ বিলিয়ন ডলার।
আম গাছ থেকে যে প্লাইউড তৈরি হয়, তা সেরা। অন্য কোনও গাছ থেকে এমন প্লাইউড তৈরি হয় না। এমন উৎকৃষ্ট মানের প্লাইউড নজর কেড়েছে চীনের। সেই সুবাদেই চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন হচ্ছে বঙ্গের মালদহের। ইতিমধ্যেই বছরে ১০০ কোটি টাকার বাণিজ্য শুধুমাত্র মালদহ জেলা থেকে। গোটা দেশে মালদহে আম গাছ বা বাগানের পরিমাণ সব থেকে বেশি। চীনের চাহিদার জন্যে মালদহে আম গাছের প্লাইউড কারখানা বহু গড়ে উঠেছে।
আম গাছ থেকে যে প্লাইউড তৈরি হয় তা যেমন খুশি আকৃতি দেওয়া সম্ভব। শক্তপোক্তও যা অন্যান্য প্লাইউড থেকে অনেক বেশি। এই প্লাইউড দিয়ে বিভিন্ন রকমারি আসবাব বানানো যায়। আম গাছের প্লাই দিয়ে সদৃশ্য আরাম দায়ক চেয়ার, সোফা, সব কিছুই করা সম্ভব। চীনে এই প্লাইয়ে তৈরি সামগ্রীর চাহিদা খুব বেশি। বিভিন্ন কাজকর্মে প্লাইয়ের প্রয়োজনও খুব বেশি। ইতিমধ্যেই দু-তিন বার শুধুমাত্র প্লাই নিয়ে ব্যবসার স্বার্থে মালদহ থেকে চীন ঘুরে এসেছে মালদহের প্রতিনিধি দল।