মেলাকে ঘিরেই এখন সাজ সাজ রব গড়ভবানীপুরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চেনা জায়গায় বেড়ানোর পাশাপাশি অচেনা গন্তব্যেও ছোটেন অনেকে। খুঁজে বেড়ান ইতিহাসের ছেঁড়া ছেঁড়া ছবি। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এমনই এক জায়গা উদয়নারায়ণপুরের কাছে গড়ভবানীপুরের রায়বাঘিনী রানি ভবশঙ্করী স্মৃতি পর্যটন কেন্দ্র। ২৬ ডিসেম্বর এখানে মেলা বসবে, চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলাকে ঘিরেই এখন সাজ সাজ রব গড়ভবানীপুরে।
এখানে কান পাতলে এখনও শোনা যায় রানি রায়বাঘিনী ভবশঙ্করীর দোর্দন্ডপ্রতাপের কথা। প্রায় ১০ একর জমিতে গড়ে উঠছে রায়বাঘিনী রানি ভবশঙ্করী স্মৃতি পর্যটন কেন্দ্র। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম পর্যন্ত গড়ভবানীপুর ছিল ভুড়শুট পরগনার রাজধানী। চতুরানন মহানিয়োগী হুগলি জেলার দিলাকাশ থেকে এই রাজধানী গড়ভবানীপুরে নিয়ে আসেন। বর্তমান হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, মেদিনীপুর নিয়ে এই রাজ্য বিস্তৃত ছিল। এই রাজপরিবারে বীরাঙ্গনা রানি ছিলেন রাজা রুদ্রনারায়ণের পত্নী ভবশঙ্করী। পাঠান সুলতান কতুল খানের সেনাপতি ওসমান খাঁকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। রানির এই বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে মোগল সম্রাট আকবর সেনাপতি মান সিংকে গড়ভবানীপুরে পাঠিয়ে রানিকে ‘রায়বাঘিনী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই জায়গাটিকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই পর্যটন কেন্দ্রে ইকো পার্ক, শিশু উদ্যান, পদ্মপুকুর, অর্কিড বাগান, নার্সারি, প্রজাপতি উদ্যান, রঙিন মাছের পুকুর, মনীষীদের মূর্তি, ফোয়ারা এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য বসার জায়গা সবই তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সবুজে ঘেরা ইকো পার্কে থাকছে ক্যাফেটেরিয়া, গাছবাড়ির আদলে পর্যটক আবাস, ভগ্নপ্রায় গোপীনাথ জিউ মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন, রাজবাড়িতে মিউজিয়াম। সব মিলিয়ে খরচ চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যেই স্থানীয় সাংসদ সাজদা আহমেদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা মেলায় স্থায়ী মুক্ত মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে।