দেশ বিভাগে ফিরে যান

ধুঁকছে ডাক বিভাগ, কর্মী সংকোচনে মরিয়া মোদী সরকার

December 18, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্র চাইছে লোকসানের বোঝা সামলে মুনাফা করুক পোস্ট অফিসগুলি। সেই লক্ষ্যে বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করতে চলেছে তারা। কী উপায়ে কমতে পারে লোকসানের বহর? ডাক বিভাগ মনে করছে, লাভের পথে সব থেকে বড় বাধা বিভাগের কর্মী ও অফিসারদের বেতন ও পেনশন খাতে বিপুল খরচ। লোকসান কমাতে গেলে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি বেতন ও পেনশন খাতে খরচ কমানো ছাড়া উপায় নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেক্ষেত্রে কর্মী সংকোচনই একমাত্র উপায়। এদিকে, ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। এই অবস্থায় কর্মী সংকোচন হলে বা কেউ অবসর নেওয়ার পর শূন্যপদ পূরণ না হলে পরিষেবার মান কি আরও খারাপ হবে? ঘনিয়ে উঠেছে সেই আশঙ্কাও।

আজও দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সংস্থা। দেশের ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ডাকঘরে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় রয়েছে ৩৬ কোটি ৩২ লক্ষ সেভিংস অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পগুলি এর মধ্যেই রয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা রয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় লাফিয়ে বাড়ছে ডাক বিভাগের লোকসান। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ইন্ডিয়া পোস্টের আর্থিক ঘাটতি বা লোকসান ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই ঘাটতি পোঁছেছে ২৩ হাজার ১০৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ মাত্র আট বছর পর সেই বার্ষিক ঘাটতিই বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি! খোদ ডাক বিভাগেরই দাবি, প্রতি ১০০ টাকা খরচ হলে ডাকঘরের আয় হচ্ছে মাত্র ৩৩ টাকা!

ডাক বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা কাটাতেই বেসরকারি সংস্থার পরামর্শ নিতে চলেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে। সেখানে যেসব ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কর্মিবর্গ পরিচালনার বিষয়টিও। ওই আগ্রহপত্র থেকে স্পষ্ট, বেতন ও পেনশন খাতে বিপুল খরচ কমিয়ে কীভাবে আয় বৃদ্ধি করা যায়, সেই পথ খুঁজতে চাইছে ডাক বিভাগ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi Government, #Postal Department, #employees

আরো দেখুন