‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতার আওতায় যাঁরা আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে চলেছে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য সরকারের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের অধীনে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী উপভোক্তাদের প্রতি মাসের আয় এক হাজার টাকার নীচে থাকলে তবেই এই প্রকল্পের সুবিধা মেলে। এই নিয়মই তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করবেন বা ‘মাইগ্রেট’ করবেন, তাঁদের জন্য মাসে এক হাজার টাকা আয়ের ঊধর্বসীমা আর রাখা হবে না। এই মর্মে খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপাতত মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষা। সেখানে সিলমোহর পড়লেই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি থেকে শুরু করে পরবর্তী যাবতীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু করে দেবে নবান্ন।
অর্থাৎ, ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপকরা স্বাভাবিক ছন্দেই মাসে এক হাজার টাকা করে পেতে থাকেন। এই মহিলাদের জন্য এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর যেমন ‘ওল্ড এজ পেনশন’ দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে, তেমনই ‘জয় জোহার’ ও ‘তফসিলি বন্ধু’ প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। এছাড়া, পঞ্চায়েত দপ্তর কয়েক লক্ষ রাজ্যবাসীকে ভাতা দিয়ে থাকে। কৃষিদপ্তর, পুরদপ্তর, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমেও বহু মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেয় রাজ্য। ২০২০ সালের মার্চে বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পকে এক ছাতার তলায় এনে নাম দেওয়া হয় ‘জয় বাংলা’। তবে ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমার নিয়মটি এখনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু ‘তফসিলি বন্ধু’ (তফসিলি জাতির জন্য) ও ‘জয় জোহার’ (তফসিলি উপজাতির জন্য) প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার আয় সংক্রান্ত কোনও শর্ত নেই। তাই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পান, ৬০ বছর হয়ে গেলে তাঁরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের আওতায় বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করেন।