রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্য পুলিসের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ক্যানিং থেকে ধৃত কাশ্মীরি জঙ্গি, লস্করের ‘নেটওয়ার্ক’ মজবুত করার দায়িত্ব ছিল ধৃতের উপর

December 23, 2024 | 1 min read

লস্করের ‘নেটওয়ার্ক’ মজবুত করার দায়িত্ব ছিল ধৃতের উপর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আত্মীয়ের বাড়িতে গা-ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না৷ ক্যানিং থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ল কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের এক সদস্য৷

শনিবার রাতে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ এবং কাশ্মীর পুলিসের যৌথ অভিযানে জাভেদ মুন্সি নামে কাশ্মীরের ওই বাসিন্দাকে পাকড়াও করা হয়। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার যোগ রয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে লস্করের জাল বিস্তার এবং কাশ্মীরে হুরিয়ত আন্দোলনকে ফের চাঙ্গা করতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

এসটিএফ সূত্রে খবর, ন’য়ের দশকে জাভেদ কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনে নাম লেখান। মগজ ধোলাইয়ের পর তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানে আইইডি (বিস্ফোরক বিশেষ) তৈরি ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। লস্করের বড় মাথাদের সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি হয় সেখানে। পাকিস্তানের পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলেন। ভারতে ফিরে তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের হয়ে কাজ শুরু করে দেন তিনি। কাশ্মীর পুলিস জানতে পারে, জাভেদ নেপাল হয়ে নিয়মিত পাকিস্তানে আসা-যাওয়া করছেন।

কাশ্মীর উপত্যকায় সংগঠন বাড়ানোর পাশাপাশি গোটা দেশে লস্করের ‘নেটওয়ার্ক’ মজবুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা কাশ্মীরি যুবকদের লস্করের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ শুরু করেছেন তিনি। তদন্তে আরও জানা যায়, ভূস্বর্গের একটি খারিজি মাদ্রাসায় সদ্য নিযুক্ত ‘জেহাদি’-দের অস্ত্র চালনা ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও দেন জাভেদ। পাকিস্তান থেকে আসছিল অস্ত্র ও টাকা। সেই রসদ আনতেই তিনি বারবার নেপাল ও বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় আইইডি তৈরি করে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। ২০১১ সালে আহলে হাদিসের এক নেতাকে খুনের অভিযোগে দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Canning, #WB Police, #Kashmiri Terrorist

আরো দেখুন