সাজানো হচ্ছে আদিনা মসজিদকে, ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পেতে মরিয়া মালদহ প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেতে মরিয়া মালদহ জেলা প্রশাসন। সেই উপলক্ষ্যে প্রাচীন ঐতিহ্যশালী আদিনা মসজিদ ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নবম শতাব্দীর বৌদ্ধ বিহার, পাল ও সেন যুগের গৌড়ের স্থাপত্যকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান, গৌড়, পান্ডুয়া, আদিনার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে মাথায় রেখে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কাজ করছে।
গৌড় ও পান্ডুয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পাওয়া উচিত বলে মনে করছেন মালদহের প্রশাসনিক কর্তারা। যেকোনও ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা জয়ের জন্য বেশকিছু গাইডলাইন রয়েছে। সে’পরীক্ষায় পাশ করতে প্রশাসন জোরকদমে কাজ শুরু করেছে। গৌড়ে পাল রাজাদের রাজত্বে পান্ডুয়া, জগজীবনপুরকে ঘিরে থাকা স্থাপত্য ও সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য ঝাঁপিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। পর্যটন পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে ফেলার ভাবনা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা অর্জন করতে প্রশাসন ১৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বেশকয়েকটি কাজ শেষ হয়েছে। ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়। স্থাপত্য পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। পান্ডুয়ার হামাম বা স্থানাগার সম্প্রতি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। পাশাপাশি জায়গাগুলির সৌন্দর্যায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। পর্যটক টানতে গৌড়, জগজীবনপুর, আদিনা ও পান্ডুয়ায় পর্যটকদের বসার জন্য সুসজ্জিত বেঞ্চ, ছোটদের জন্য চিলড্রেন পার্ক ও টয়ট্রেনের মাধ্যমে জয় রাইড এবং বড় বড় বাগান তৈরি করে মরশুমি ফুল চাষ হবে। জেলাশাসক পূর্ত, পর্যটন, বিদ্যুৎ, বন-সহ সমস্ত সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ঐতিহাসিক জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হলে পর্যাপ্ত আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে জায়গাগুলো। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার কাজ করছে প্রশাসন।