গেরুয়া শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – বিক্ষোভের মুখে দিলীপ, লকেট
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতা দখলের খোয়াব দেখছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ, নেতা-কর্মীদের চাপা অসন্তোষ। এবার যেমন ধনিয়াখালি বিধানসভা এলাকায় দলীয় কোন্দল মাথাচাড়া দিল বিজেপিতে। শুধু তাই নয়, সেই গোষ্ঠীকোন্দলের আঁচ সরাসরি এসে পড়ল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সামনে। বুধবার বিকেলে ধনিয়াখালির সভা থেকে ফেরার পথে হুগলির মহেশ্বরপুর মোড়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ, লকেট এবং জেলা সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষের গাড়ি বীরভূম থেকে ফেরার পথে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এসে মহেশ্বরপুর মোড় দিয়ে সভাস্থলে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো সেখানে শ’খানেক কর্মী-সমর্থক বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন দিলীপবাবুকে সংবর্ধনা দিয়ে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু মহেশ্বরপুর মোড়ের আগেই শিবাইচণ্ডী দিয়ে দিলীপ ঘোষের গাড়ি ধনিয়াখালির মদনমোহনতলার সভাস্থলে পৌঁছয়। সেই কারণে ক্ষোভ জন্মায় দলের একটা অংশের কর্মীদের মনে। মূলত, ৩০-বি মণ্ডল সভাপতি অজয় কৈরীর সৌজন্যে মিটিংটি ছিল। আর মহেশ্বরপুর মোড়ে ৩০-এ মণ্ডলের দলীয় সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দলীয় কর্মীরা পতাকা হাতে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। বিজেপির ৩০-বি মণ্ডল সভাপতির নামে ‘হায় হায় অজয় কৈরী’ ও ‘অজয় কৈরী হটাও, অজয় কৈরী তৃণমূলের দালাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন কর্মীরা। গাড়ি থেকে মুখ বের করে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এবং পরবর্তী কালে আবার মহেশ্বরপুর মোড়ে এসে সভা করার প্রতিশ্রুতি দেন দিলীপবাবু। ৩০-এ মণ্ডল সভাপতি অজয় কৈরী বলেন, কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে জানি না। আর অস্বস্তি এড়াতে বিজেপির হুগলি জেলা সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জীর সাফাই, বিক্ষোভ কিছু হয়নি। ওটা কর্মীদের আবদার ছিল।