DCGI-এর নোটিসের জের, অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ হল ভারতে
ব্রিটেনের পর এবার ভারতেও বন্ধ হয়ে গেল অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল। সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র না মেলা পর্যন্ত এই এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আর শুরু করা হবে না। এমনটাই খবর ভারতে এই টিকার প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট সুত্রে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর পরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। দেশের মাটিতে তৈরি হতে চলা টিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। সম্প্রতি DCGI-এর অনুমতি নিয়েই দেশের মাটিতে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করে সেরাম। দেশের মোট ২০টি জায়গায় ১৬০০ মানুষের উপর এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছিল।
কিন্তু তাল কাটল ব্রিটেনে এই ট্রায়ালে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায়। ওই স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাতে ব্রিটেনে অক্সফোর্ডের তৈরি এই টিকাটির ট্রায়াল স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ভারতে এই টিকার ট্রায়াল চালু রাখা নিয়ে। গতকাল রাতে এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল বন্ধ নিয়ে সেরাম ইনস্টিটউট অফ ইন্ডিয়াকে শোকজ নোটিস পাঠায় কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। DCGI বলছে, যে কোনও টিকার ট্রায়ালে যদি একজনের শরীরেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে সেই ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়ায় নিয়ম। ভারতে সেরাম হাজার জনেরও বেশি মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন দিচ্ছে। অথচ তাঁরা এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের কথা এখনও জানায়নি। যতক্ষণ না সুরক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তারপরই আজ ট্রায়াল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেরাম। উল্লেখ্য, ভারতে যে ভ্যাকসিনগুলির ট্রায়াল শুরু হয়েছে তার মধ্যে এই ভ্যাকসিনটিই এগিয়ে ছিল। এর ট্রায়াল বন্ধ হওয়ার ফলে