প্রাইমারিতেও চালু হচ্ছে সেমিস্টার ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রাইমারিতেও চালু হচ্ছে সেমিস্টার ব্যবস্থা। নয়া পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। অর্থাৎ, এবার থেকে প্রাথমিকে একই ক্লাসে দু’বার করে পরীক্ষা হবে। সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখেই সেমিস্টার সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পুরনো পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে বদল আসবে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি মিলেছে।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আগে বছরে এক বারই পরীক্ষা নেওয়া হত। সেই পরীক্ষার ফলাফলের উপর বিশ্লেষণ করে পড়ুয়াদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থা ছিল। তবে এ বার থেকে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর— গোটা বছরকে এই দু’ভাগে ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম সিমেস্টার হবে ৪০ নম্বরে। পরের পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে।
৪০ নম্বরের পরীক্ষা কোনও লিখিত আকারে হবে না। ৪০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি, ক্লাসে আচরণ ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়নের উপর। বাকি ২০ থাকবে বিভিন্ন প্রজেক্টের ভিত্তিতে। দ্বিতীয় সিমেস্টার হবে পুরোটাই লিখিত। তবে সেখানেও বদল আনা হয়েছে। এ বার থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব আর থাকছে না স্কুলের হাতে। প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র তৈরি করবে পর্ষদই। গোটা রাজ্যে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। তবে খাতা দেখবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।
পড়ুয়াদের জন্য থাকছে ‘ক্রেডিট স্কোর’ও। প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রত্যেক বছর মোট ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাসের সময় ঠিক করা হয়েছে। তার উপর দেওয়া হবে ‘ক্রেডিট স্কোর’। সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ স্থির করা হয়েছে ১৩.৫। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বছরে ক্লাস নেওয়া হবে ৪৬০ ঘণ্টা। এই তিন শ্রেণির জন্য সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ স্থির করা হয়েছে ১৬.৫।