মেরুকরণের রাজনীতি আমরা করি না – বিজেপিকে তোপ পার্থর
আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য কমিটির সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। নিজের বক্তব্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। গেরুয়া শিবিরের এই আক্রমণের জবাব দিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন
পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বাংলার গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য চিরকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছেন, মানুষ যাতে ভোটার কার্ড পায় তার জন্য তিনি আন্দোলন করেছেন। মানুষের পেটে ভাত, মাথার ওপর ছাদ এটাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ মমতা ঐতিহাসিক অবদান ভুলে যাবে না। মানুষকে উপেক্ষা করার রাজনীতি আমরা করি না।
ওনার সাফ বক্তব্য, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি, মেরুকরণের রাজনীতি আমরা করি না। কেন্দ্র একটা টাকাও দিচ্ছে না। অথচ অবস্থাতেও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব উন্নয়নমূলক কাজগুলি চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের স্বার্থে। যারা তোষণের রাজনীতির কথা বলছেন তারা রাজনীতি করার জন্য একথা বলছেন। উনি কত টুকু খবর রাখেন?
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ওনারা বাংলায় এসে সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে। গরীব বিরোধী সরকার কারা? যারা রেল, বিএসএনএল সহ সব কেন্দ্রীয় সংস্থা বেচে দিচ্ছে, একের পর এক সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ করছে।
পার্থবাবু বলেন, বাংলার ভালো চাইলে আজ সবুজ সাথী নিয়ে গর্ব করতেন, ওনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, শুধু চেয়ার দখলের রাজনীতি করছে বিজেপি।
তিনি আরও বলেন, ওদের দেশভক্তি, রবীন্দ্রভক্তি লোক দেখানো। নোবেল চুরির মামলার সিবিআই তদন্ত কি হল? রবীন্দ্রনাথের প্রতি এতো দরদ থাকলে ওরা বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত করতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলে চেঁচিয়ে লাভ নেই, রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের বাংলাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলা ভাষাকে তার সন্মান দিতে, আমরা বারবার প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে সেকথা জানিয়েছি। রবীন্দ্রনাথের কথা বলছেন ওনারা, কতটুকু জানেন ওনারা? উনি সারা জীবন সবাইকে নিয়ে একসাথে চলেছেন।
তিনি প্রশ্ন করেন, বিশ্বভারতীতে গুন্ডামি হচ্ছে কেন? ওরা তথ্য না জেনেই কথা বলেন। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্গালোর এ করোনা রিপোর্ট নিতে যাচ্ছেন? না। শুধু বাংলাকে, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, শুধু সমালোচনা করছেন।