গঙ্গাসাগর মেলা: ভাটার সময় ভেসেল আটকে থাকা পুণ্যার্থীদের ড্রোনের সাহায্যে জল, খাবার পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা প্রশাসনের

ড্রেজিং-এর কাজ দেখার পর জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে।

December 31, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। সে জন্য দফায় দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসকের দপ্তরে সরকারি পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। জানা গিয়েছে, বৈঠকে গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড্রেজিং-এর কাজ দেখার পর জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে। কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সময় ভেসেল দিক্‌নির্ণয় না করতে পেরে চড়ায় গিয়ে আটকে যায়। সেই সমস্যা সমাধান করতে এ বার ‘অ্যান্টি ফগ লাইট’ এবং ইসরোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। গঙ্গাসাগর মেলার সময় বাবুঘাট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত থাকছে কন্যাশ্রীদের জন্য ‘বাফার জ়োন’। পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে ২১ টি জেটি, ৯টি অত্যাধুনিক বার্জ এবং ৩৫ টি ভেসেল। প্রতিটি বাফার জ়োনে থাকবে পানীয় জল এবং চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা।’’

ভাটার সময় ভেসেল আটকে গেলে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জল, খাবার ও অন্যান্য জরুরি পণ্য তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। তবে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় এমন পরিস্থিতিতে পুণ্যার্থীদের কাছে এইসব সামগ্রী সহজেই পাঠাতে বিশেষ ধরনের বড় ড্রোন ব্যবহার করবে তারা। এটি চালানোয় দক্ষ সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সাগর মেলা শুরু হওয়ার আগে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

গঙ্গাসাগর মেলায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি উপর বাড়তি গুরুত্ব এমনিতেই দিচ্ছে প্রশাসন। প্রতিবার খান কুড়ি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সংখ্যাটি এবার বাড়িয়ে অন্তত ২৫ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই এই বিশেষ ধরনের ড্রোন কাজে লাগানো হবে। আগে কুয়াশায় দিকভ্রষ্ট হয়ে মুড়িগঙ্গা নদীর চরে আটকে পড়ত অনেক ভেসেল। তার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো তীর্থযাত্রীদের। খাবার ও জলের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়তেন তাঁরা। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কুয়াশার মধ্যে সেই জলযানকে খুঁজে পেতেই অনেক সময় লেগে যেত প্রশাসনের। তাই এবার বড় ড্রোনের সাহায্যে অত্যাবশ্যক পণ্য তীর্থযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া একাধিক ড্রোন ব্যবহার করা হবে অন্যকিছু কাজেও। জানিয়েছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। সমুদ্র সৈকতে ঘোষণা, তীর্থযাত্রীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি প্রভৃতিও এবার ড্রোন দিয়ে সম্পন্ন হবে।

এদিকে, মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করে তোলা হয়েছে। এনিয়ে হয়েছে বিস্তারিত বৈঠক ও আলোচনা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও। তিনি বলেন, সাগর মেলার নজরদারিতে ব্যস্ত থাকবেন ১৩ হাজার পুলিসকর্মী। সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জলে ও ডাঙায় থাকছে বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা। মুড়িগঙ্গা নদীতে সারাক্ষণ চলবে নিরাপত্তারক্ষীদের টহলদারি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen