শীতের ঝাড়গ্রামে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকেরা চেখে দেখছেন শাল-চিকেন, লাল পিঁপড়ের চাটনির মতো স্থানীয় খাবার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীত পড়তেই ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ঝাড়গ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। শাল-চিকেন, লাল পিঁপড়ের চাটনি-সহ স্থানীয় খাবারে মজছেন পর্যটকরা। হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে, লজগুলোয় স্থানীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের চাহিদায়। পর্যটনস্থলগুলিতে জঙ্গল, পাহাড় সংলগ্ন গ্ৰামবাসীরা স্থানীয় খাবারের পসরা নিয়ে বসছেন। স্থানীয় খাবার খেয়ে পর্যটকরাও খুশ!
ঝাড়গ্রামের সবুজ পাহাড়, ঘন জঙ্গল, ক্ষীণধারা নদী, প্রাচীন মন্দির ও প্রাচীন রাজবাড়ির সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় খাবারদাবারে মজছেন পর্যটকরা। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের প্রিয় খাবার শাল চিকেন, কুরকুড়ে ছাতু, মাংস-পিঠে, লালা পিঁপড়ের চাটনি। হোটেল, রিসর্ট, লজ, হোম-স্টেগুলোয় এখন স্থানীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। পর্যটনের মরশুমে গ্ৰামবাসীদের বাড়তি রোজগার হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ও চিল্কিগড় রাজবাড়ির হেরিটেজ হোটেলেও এমন নানা ধরনের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকরা শাল-চিকেন, মাংস-পিঠে, লাল পিঁপড়ের চাটনিতে বেশি মজছেন।
বনমোরগের মাংসকে ভাল করে মশলা দিয়ে মাখিয়ে নিতে হয়। তারপর কাঁচা শালপাতার ভিতর মুড়ে সুতো দিয়ে বাঁধা হয়। কাঠের আঁচে শালপাতায় ভরা মাংস রাখা হয়। পাতা পুড়ে কালচে হয়ে গেলে উনুন থেকে বের করা হয়। নতুন শালপাতায় সেই মাংস পরিবেশন করা হয়। এছাড়াঅ জঙ্গলমহলের মানুষের প্রিয় খাবার কুরকুট। সাঁওতালি ভাষায় যাকে বলা হয় হাও। যা এক ধরনের পিঁপড়ের ডিম। স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গল থেকে পিঁপড়ে সংগ্ৰহ করে নিয়ে আসেন। বেলপাহাড়ীর কাঁকড়াঝোড়, ঘাগরার মতো পর্যটনস্থলে শাল-চিকেন, লাল পিঁপড়ের চাটনি দেদার বিক্রি হচ্ছে। পর্যটকরা খাবার খেয়ে প্রশাংসা করছেন। তারা স্থানীয় খাবারের খোঁজও করছেন। পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে স্থানীয় খাবার।