ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে বিনিয়োগ আনতে উদ্যোগী রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এমএসএমই সিনার্জিতে শিল্পদ্যোগীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিলেন একাধিক মন্ত্রী থেকে শুরু করে দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। রাজ্যের তরফে সমস্ত রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়ে পাঁচ একরের উপর জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হল। রাজ্যের এক ডাকে সাড়া দিয়ে একে একে যেমন একাধিক শিল্পোদ্যোগী ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে আগ্রহ দেখালেন। ঠিক একই সুরে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র খড়দহে এমনই একটি শিল্পতালুক তৈরির জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এই জেলার সিনার্জির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, ক্ষুদ্র শিল্প সচিব রাজেশ পান্ডে, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী প্রমুখ। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০১১-র পর থেকে কর্মক্ষেত্রে বিচরণ করার জন্য আবহাওয়া তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাণিজ্য সম্মেলনের ব্যাপারে ৪২টি দেশের রাষ্ট্রদূত বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমাকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার, ক্ষুদ্র শিল্পের কর্মীদের আর্থিক উন্নতির দিকটায় গুরুত্ব দিতেও শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
ক্ষুদ্র শিল্পের অন্যান্য দিক তুলে ধরার পাশাপাশি এরাজ্যে আরও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী এবং সচিব দু’জনেই। সচিবের কথায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বস্ত্র এবং সেনা বাহিনীর ব্যবহারের জন্য সামগ্রী তৈরির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী উদ্যোগও গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ৫৮টি পার্ক রয়েছে, আরও ১২টি গড়ে উঠছে, ১০টি আবেদন স্তরে রয়েছে আর এসএআইপি স্কিমের অধীন ৪০টি পার্ক হচ্ছে। খিলকাপুর এবং মহিষবাথানে গার্মেন্টস পার্ক গড়ে উঠছে। এদিন সিনার্জিতে উদ্যোক্তাদের থেকে ৪,১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।