মার্কশিট তুলে দেওয়ার মন্তব্য মোদির? দেশজুড়ে বিভ্রান্তি
“তিন দশকে জীবন কত পাল্টে গিয়েছে। অথচ শিক্ষানীতি সেই একই আছে। এটা হওয়া উচিত নয়। তাই এবার সময় এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থার অভিমুখ বদলে দেওয়ার।”
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার এই ছিল সূচনা। আর তারপরই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর সরকারের লক্ষ্য, ‘২০২২ সালেই ভারতে শুরু হবে নতুন শিক্ষানীতি।’ শুধু যে সিলেবাস আমূল পাল্টে যাবে তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, বদলে যাবে মার্কশিট প্রথাও।
তিনি বলেন, পরীক্ষা, মার্কশিট এই শব্দগুলি পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে আসে। ক্রমেই মার্কশিট যেন পর্যবসিত হয়েছে প্রেশারশিটে। মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা সহজভাবে শিক্ষাগ্রহণ থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এই মার্কশিট প্রথার কারণেই বহু গুণসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী পিছিয়ে পড়ে জীবন ও জীবিকার পথে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।
মোদি বলেছেন, ‘প্রেশার কমাতে হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে মার্কশিটের ভয়ই না থাকে। ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি। সেই বছরই একবিংশ শতকের ভারত পাবে নতুন শিক্ষানীতি।’ শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষানীতি সংক্রান্ত অনুষ্ঠান ‘একবিংশ শতকের স্কুলশিক্ষা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই প্রক্রিয়া বদলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদির ঘোষণার পরই দেশজুড়ে প্রশ্ন ও জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি ২০২২ সাল থেকে মার্কশিট প্রথাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ও তার যাচাই প্রক্রিয়া কীভাবে হবে? সম্প্রতি নয়া শিক্ষানীতি তৈরি করেছে কেন্দ্র। সেই প্রস্তাবের বহুলাংশ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। আঞ্চলিক ভাষার সপক্ষে সওয়াল করে রাজ্যগুলির প্রধান আপত্তি, হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ যে কথাটি বলেছেন তা হল, ভারতের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ীই শিক্ষালাভ করে। অর্থাৎ মোদির না বলা অঘোষিত স্লোগানটি হল, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান এডুকেশন!’