মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ মমতার, নিলম্বিত সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসক
মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ মমতার, নিলম্বিত সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসূতি ও পরে সদ্যোজাতর মৃত্যু নিয়ে জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে নবান্ন। দুই রিপোর্টেই গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রিপোর্টের সারাংশ পড়ে শোনান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় ওইদিন কর্তব্যরত চিকিৎসকদেরই দায়ী করেছেনন। তাঁর কথায়, “রিপোর্টে স্পষ্ট, ওইদিন যাঁরা অপারেশন করেছিলেন, যাঁদের হাতে সন্তানের জন্ম হয়, তাঁরা দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি। করলে মা-শিশুদের বাঁচানো যেত। কারও প্রাণহানি হতো না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।”
মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত প্রসূতির পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, পরিবারের এক সদস্যকে দেওয়া হবে চাকরি।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যদপ্তরের বিশেষ সচিবকে সরিয়েছে রাজ্য। সরকারের যুক্তি, রুটিন রদবদল।
ওষুধ সংক্রান্ত বিভাগের বিশেষ সচিব ছিলেন চৈতালি চক্রবর্তী। তাঁকে বদলি করা হয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন শুভাঞ্জন দাস। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর পাঁচ প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। মারা যান মামণি রুইদাস নামের এক প্রসূতি। বাকিরা চিকিৎসাধীন।