কারাগারের মত পরিবেশ – বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ঠাকুর পরিবারের
পাঁচিল নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। কেন্দ্র-রাজ্য রাজনীতি পর্যন্ত গড়িয়েছে জল। রবীন্দ্রনাথের মুক্তচিন্তা বনাম কর্তৃপক্ষের হঠকারিতার জেরে অশান্ত শান্তিনিকেতন। এরই মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল ঠাকুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর পরিবেশ কারাগারের মত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর বহু কৃতি প্রাক্তনী ও বিদ্বজ্জন শান্তিনিকেতনের জলঘোলা নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্যরাও মুখ খুললেন। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তারা আর্জি জানান শতাব্দী প্রাচীন এই রাস্তার দায়িত্ব নিতে। তাদের ভয়, হয়তো কর্তৃপক্ষ এই রাস্তায় সাধারণ মানুষের ঢোকা নিষিদ্ধ করে দেবে।
উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে শান্তিনিকেতনে কারাগারের মত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা শান্তিনিকেতন থেকে তিন কিলোমিটার লম্বা রাস্তা যা কবির স্বপ্নের গ্রাম শ্রীনিকেতনে যায়, সেটাও অচিরে সাধারণ মানুষদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। ঠাকুর পরিবার ছাড়াও এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ৪০জন কৃতি, যার মধ্যে আছে নন্দলাল বসুর পরিবারও।
চিঠিতে লেখা, ৮-৯ ফুট উঁচু পাঁচিল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই পুরনো রাস্তার পাশেই বাড়ি অমর্ত্য সেন, ক্ষিতিমোহন সেন ও নন্দলাল বসুর। এই পাঁচিল তৈরি হলে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় ও আশ্রমবাসীদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে কর্তৃপক্ষ আরেকটি নতুন রাস্তা তৈরি করেছে এই রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য। যদি এই নতুন রাস্তাটি রাজ্য সরকার ফিরিয়ে নেয়, তাহলে পুরনো রাস্তাটি বহাল থাকবে।
এই চিঠিতে যারা সই করেছেন, তাঁর মধ্যে অন্যতম ঠাকুর পরিবারের সুপ্রিয় ও শুভ্র ঠাকুর ও নন্দলাল বসুর নাতি সুপ্রাবুদ্ধ সেন।