তারাপীঠে সতীর ৫১ পীঠের আদলে মন্দির গড়ার কাজ এক ধাপ এগল
২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারাপীঠে সতীর ৫১টি পীঠস্থানের আদলে মন্দির ও বিগ্রহ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় টিআরডিএ।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারাপীঠে সতীর ৫১টি পীঠস্থানের আদলে মন্দির ও বিগ্রহ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় টিআরডিএ। সেইমতো চিলাব্রিজ সংলগ্ন ৩১ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু জায়গাটি বনদপ্তরের হওয়ায় তাঁরা পরিবর্ত জায়গার পাশাপাশি ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। যা নিয়ে বেশ কয়েক বছর কেটে যায়।
২০২০ সালে বনদপ্তরকে রাজনগরে সমপরিমাণ জায়গা দেওয়া হয়। ’২৩ সালের শুরুতে টিআরডিএ-র পক্ষ থেকে বনদপ্তরকে টাকাও দেওয়া হয়। ওই বছরের এপ্রিল মাসে জায়গাটি জেলা কালেক্টরকে হস্তান্তর করে বনদপ্তর, যা ১ নম্বর খতিয়ানে রয়েছে। কিন্তু এরপর দ্বারকা নদ দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গেলেও প্রকল্প গতি পায়নি। ওই মাসেই টিআরডিএ-র সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংবাদ মাধ্যমে জানান, এই প্রকল্পের ডিপিআর করবে টিআরডিএ।
হিডকোয় যারা সেভেন ওয়ান্ডার করেছে, তাদের এই কাজ দিলে তাড়াতাড়ি হবে। ওই সংস্থা ৫১টি পীঠ ঘুরে দেখে হুবহু নকশা ও ডিপিআর করবেন বলে ঠিক হয়। সেব্যাপারে রেজুলেশনও নেওয়া হয়। যদিও ওই আর্কিটেকচার একবার টিআরডিএ অফিসে আসলেও পরে আর কোনও যোগাযোগ করেননি। তখন থেকে ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি সিইওকে ডিপিআর করার জন্য সংস্থা খোঁজার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
এদিকে টিআরডিএ সূত্রের খবর, ডিপিআর করতে গেলে সংস্থাকে ওয়ার্ক অর্ডার দিতে হবে এবং প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে খরচ রয়েছে। যখন প্রস্তাব পাঠাব তখন জমিটি কার সেটা দেখবে। সেক্ষেত্রে টিআরডিএকে প্রকল্পের জন্য জমি দেখাতে হবে। তাই প্রকল্প শুরুর আগে ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা জেলা কালেক্টরের কাছ থেকে জমিটি টিআরডিএকে হস্তান্তর করা।
সিইও বলেন, জায়গাটা টিআরডিএর নামে হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি ডিপিআর করাতে পারব। যদিও জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ল্যান্ড ট্রান্সফারের বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে ডিপিআরের কী সম্পর্ক। জমিটা তো ১ নম্বর খতিয়ানে রয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্প গড়ে উঠলে মানুষের কাছে অভাবনীয় হয়ে উঠবে। এক ছাতার তলায় বিবরণ সহ সতীর ৫১ পীঠগুলির আদলে মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ তারাপীঠে পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যাপক বিকাশ ঘটবে। প্রকল্পের ব্যয় হিসাবে আনুমানিক একশো কোটি টাকা ধরা হয়েছে।